‘ছেলেগুলোকে মারো, মেয়েটাকে রেখে দাও’

প্রকাশিত: ২০ আগষ্ট ২০১৭, ০৯:৫৫ এএম

স্বাধীনতা দিবসে কলেজ ছুটি। তাই ফরিদাবাদের আসোলা অভয়ারণ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন এক বান্ধবী-সহ সাত বন্ধু। ওঁরা সকলেই জেএনইউয়ের সেন্ট স্টিফেন’স কলেজের পড়ুয়া। কিন্তু এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে যে ফিরতে হবে তা হয়তো ভাবেননি ওঁরা কেউই।

ফেরার পথে এক দল লোকের হাতে নিগৃহীত হতে হয় তাদের। অভিযোগে বলা হয়, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণেরও চেষ্টা করে দুষ্কৃতীকারীরা। শুধু তাই নয়, ধর্মবিদ্বেষী নানা কথা বলে তাদের মারধর করা হয়। পরে কোন রকমে পালিয়ে বাঁচেন ওই সাত শিক্ষার্থী। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

হয়রানির এখানেই শেষ নয়। প্রাণ হাতে করে পালিয়ে এসে অভিযোগ দায়ের করার জন্য থানায় যান তারা। কিন্তু,  স্থানীয় পুলিশ তাদের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে।

এক পুলিশ কর্মকর্তা তাদের বলেন, ‘এটা উদ্দাম যৌনতার দেশ নয়’। পরে অবশ্য লিখিত ভাবে ক্ষমা চেয়ে নেয় সেই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে অন্য একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষার্থীরা।

&dquote;ফরিদাবাদের
ফরিদাবাদের সেই অভয়ারণ্য

খবরে বলা হয়, ১৫ অগস্ট সকালে ফরিদাবাদের ওই অভয়ারণ্যে ঘুরতে গিয়েছিলেন তারা। পরে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘরে ফিরছিলেন ওই সাত জন।

আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা জানান, গাড়ির কাছে পৌঁছনোর আগেই তিন অপরিচিত ব্যক্তি তাদের পথ আটকায়। ওই মেয়েটির সঙ্গে বাকিদের কী সম্পর্ক রয়েছে, তা নিয়ে কুরুচিকর প্রশ্ন করতে শুরু করে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির শুরু হয়। তাদের মধ্যে এক জন সংখ্যালঘুকে ঘিরে শুরু হয় ধর্মবিদ্বেষী মন্তব্য। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যেই লাঠিসোটা দিয়ে মারধর শুরু করে তারা।

অভিযোগ, ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় ওই ছাত্রীকে। এছাড়া বাকিদের মেরে মেয়েটিকে নিজেদের কাছে ‘রেখে’ দেওয়ার কথাও বলতে থাকে তারা। পরে, স্থানীয়দের সাহায্যে পালিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা।

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আস্থা মোদী জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের বক্তব্য আবার রেকর্ড করা হতে পারে। তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলে নিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হতে পারে।

বিডি২৪লাইভ/এআইআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: