তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডের ৫ বছর

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৭, ১১:০৩ এএম

কেটে গেছে পাঁচ বছর। এখনো যেন নাকে লাগে মানুষের শরীর পোড়া গন্ধ। তাজরীন ট্র্যাজেডির পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণ পাননি ক্ষতিগ্রস্তের অনেকে। নিহতদের অসহায় এতিম শিশুদেরও এখন কেউ খোঁজখবর নেয় না।

সরকারসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি থেকে নিহতদের পরিবার সহযোগিতা পেলেও আহতদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন না কেউ। ঘটনায় আহতদের অনেকেই ভুগছেন কঠিন যন্ত্রণায়। কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে নানা আন্দোলন ও সংগ্রাম হলেও এখনো মালিক দেলোয়ার হোসেনের কোনো শাস্তি হয়নি।

২০১২ সালরে ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে আগুন লাগে। এতে অন্তত ১১১ জন নিহত, দুই শতাধিক আহত ও অসুস্থ হয়েছেন। এখনো অনেক পোশাক শ্রমিকের মৃতদেহের খোঁজ পাওয়া যায়নি, ডিএনএ টেস্টে নিহত ১৩ জনের পরিচয় মেলেনি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডের পরদিন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় নাশকতার পাশাপাশি অবহেলাজনিত মৃত্যুর দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারা যুক্ত করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক এ কে এম মহসিনুজ্জামান খান ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিজিএম) আদালতে তাজরীন ফ্যাশনস- এর এমডি দেলোয়ারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত বাকি আসামিরা হলেন, তাজরীন ফ্যাশনস-এর চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনারুল, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল-আমিন, স্টোর ইনচার্জ আল-আমিন ও লোডার শামীম মিয়া।

২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান। মামলায় ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।


বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: