ইচ্ছে মতো দাম আদায় করছে জাবির খাবারের দোকানগুলো

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:২০ এএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলাস্থ (খাবারের দোকান) কয়েকটি দোকানদারের বিরুদ্ধে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি হল প্রশাসন কর্তৃক নির্দিষ্ট করে দেওয়া খাবারের মূল্য তালিকাও মানছেন না কয়েকজন দোকান-মালিক। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে খাবারের মূল্য তালিকা নামিয়ে রেখে অতিরিক্ত মূল্য আদায়ে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।

অতিরিক্ত খাবারের মূল্য আদায়ের অভিযোগ উঠেছে আ.ফ.ম কামাল উদ্দিন হল সংলগ্ন নিচু বটতলার রাবেয়া রেস্টুরেন্ট, নূরজাহান হোটেল, সাথী হোটেল ও উচুঁ বটতলার দোকানদার সালামের বিরুদ্ধে। এসব দোকান-মালিকরা শুক্র ও শনিবার খাবারের নিদিষ্ট মূল্য তালিকা নামিয়ে রেখে ইচ্ছে মতো দাম আদায় করেন বলে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাগর কর্মকার এর ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, হল কর্তৃপক্ষ যে মূল্য তালিকা ঠিক করে দিয়েছেন তা দোকানদাররা সরিয়ে রেখে ইচ্ছে মতো মূল্য আদায় করছেন। হাসঁ, মুরগী, কবুতর, গরুর মাংসের পিচের সাইজ কমিয়ে অতিরিক্ত দাম নিচ্ছে।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থী পরিবার নিয়ে এসেছিলেন ক্যাম্পাসে ঘুরতে। দুপুড়ে বটতলায় খাবার খেতে এসে দেখেন মূল্য তালিকা নেই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত সপ্তাহে রাবেয়া রেস্টুরেন্টের মূল্য তালিকায় গরুর মাংস দাম ছিল ৬৫ টাকা। কিন্তু আজকে খেতে এসে দেখি মাংসের পিচ ছোট আবার দামও ৮০ টাকা নিচ্ছে।

কেবল সাগর কর্মকার বা জাবির সাবেক শিক্ষার্থী নন। একাধিক শিক্ষার্থী খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের অভিযোগ করেছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, খাবারের মান দিন দিন কমে যাচ্ছে। এছাড়াও খাবারের যে মূল্য তালিকা রয়েছে সে অনুযায়ী দাম নিচ্ছে না। দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে দোকান কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা এমন অভিযোগও করেছেন কেউ কেউ। কোন আত্নীয়-স্বজনকে সাথে নিয়ে খেতে আসলে দোকানদাররা ইচ্ছে মতো দাম ধরেন।

খাবারের মূল্য অতিরিক্ত আদায় প্রসঙ্গে রাবেয়া রেস্টুরেন্টের দোকান-মালিক বাবুল মিয়া কোনো সৎ উত্তর দিতে পারেননি। কেন অতিরিক্ত মূল্য আদায় করছেন এমন প্রশ্নে বাবুল মিয়া বলেন, দ্রব্য মূল্যর দাম বেড়েছে তাই বেশি দাম রাখা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ যে মূল্য তালিকা ঠিক করে দিয়েছেন তাতে আমার পোষায় না। যেসব শিক্ষার্থী অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে খাবে না, তাদের এই দোকানে আসার দরকার নেই।

একজন দোকানদারের এমন উত্তরে উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষার্থী বিস্মিত হয়ে যান। তারা হল কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করার কথাও জানান।

অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের বিষয়ে জানতে আ.ফ.ম কামালউদ্দিন হলের প্রাধ্যক্ষ সিকদার মো. জুলকার নাইনের মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: