প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
কুমিল্লায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন চলছে। এই খবরটি ইতোমধ্যে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার বাসিন্দা মিজানের সঙ্গে দীর্ঘ ৪ বছরের প্রেম ছালমা আক্তারের। মিজান বিদেশ থাকাকালীন মোবাইলে চলে তাদের প্রেম। গত দুই বছর আগে বিদেশ থেকে এসে বিয়ে করার কথা বলে কুমিল্লার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে মিজান। সম্প্রতি সময় আবার দেশে আসে সে। তবে ছালমাকে না জানিয়ে অন্য কোথাও বিয়ে করার প্রস্ততি নিচ্ছে মিজান। এসব বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে এক পর্যায়ে মিজান তাকে ইমুতে বলে ‘বিশ্বাস না হলে আমাকে তুই আর কল দিবি না।’ বিয়ে করছে এমন সংবাদ পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে ছালমা।
স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি জানানোর পরও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই উপায় না পেয়ে আত্মহত্যার জন্য প্রস্ততি নিয়ে একটি চিরকুট লিখেন। ব্যাগে বিষ নিয়ে নিজের ভালবাসার স্বীকৃতির জন্য রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে প্রেমিক মিজানের বাড়িতে ছুটে যান ছালমা। সেখানে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। এ ঘটনায় তরুণীকে নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার ৩নং রসুলপুর ইউনিয়নের জিন্নত গ্রামে। মিজান জিন্নত গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। তবে মিজান সকাল থেকেই নিখোঁজ আছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ছালমা আক্তার কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ৩নং রসুলপুর ইউনিয়ন এর জিন্নতপুর গ্রামে বিয়ের দাবিতে অনশন করেছে। সে দেবিদ্বার মহিলা কলেজের ছাত্রী।
ছালমা আক্তার জানান, আমাদের চার বছরের সম্পর্ক এবং মিজান বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। তবে কোন কারণ ছাড়াই সম্পর্ক ভাঙ্গতে যাচ্ছে। তাই আমি সব ছেড়ে এখানে চলে এসেছি। সঙ্গে বিষের বোতল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে ছালমা বলেন, বিয়ের কথা বলে কুমিল্লায় নিয়ে আমাকে নষ্ট করছে। এখন মরণ ছাড়া আমার কোন উপায় নেই। আমি বাবা-মা পরিবার সব ছেড়ে চলেছে এসেছি। সে যদি আমাকে মেনে না নেয় বিষ খেয়ে আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় নেই। ওই মেয়ের চিরকুটে মিজান নাম লেখা থাকলেও তবে সে এলাকায় সাদ্দাম নামে পরিচিত।
এ ঘটনায় ছেলের মা সেতরা বেগম জানান, আমার ছেলেকে খোঁজ করে পাওয়া যাচ্ছে না। ছেলেকে না পেলে তো এই সমস্যার সমাধান সম্ভব না। রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাত ৩ টা ১৭ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছালমা আক্তার ছেলের বাড়িতেই অবস্থান করছে।
৩নং রসুলপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিক বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিষের বোতল নিয়ে অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া বেগম জানান, আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং বিয়ের জন্য ব্যবস্থা করতে বলেছি এবং আমি বিয়েতে উপস্থিত থাকব তাও বলেছি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার সার্কেল সিনিয়র এএসপি সেলিম মোহাম্মদ শেখ জানান, বিষয়টা জেনেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইন চার্জ(ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এই বিষয়ে জানি না, তবে অফিসিয়ালি অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেব।
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: