প্রত্যাশার চেয়েও বই মেলায় বেশি দর্শনার্থী
গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া অমর একুশে বই মেলায় দর্শনার্থীদের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ বলছে, যে পরিমান দর্শনার্থী আসছে, তা প্রত্যাশার চেয়েও বেশী।
বাংলা একাডেমির পরিচালক ও মেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিডি২৪লাইভকে বলেন, প্রথম অবস্থায় যে পরিমাণ দর্শনার্থী মেলায় আসবে বলে আমরা ধারণা করেছিলাম, তা ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশী দর্শনার্থী মেলায় আসছে।
তিনি বলেন, ১ তারিখ মেলা শুরু হয়েছিল। এরপর দিন ২ তারিখ ছিল শুক্রবার। আর শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াতে ওইদিন মেলায় প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দর্শনার্থী এসেছে। এছাড়া প্রতিদিনই দর্শনার্থী বাড়ছে। আমরা আশা করছি, মানুষের এ ভীড় আরও বাড়বে।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় পাঁচ লাখ বর্গফুট জায়গায় বসেছে ঐতিহাসিক এ মেলা। এজন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশকে ১২টি চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে এ বইমেলা। ছুটির দিন চলে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। এবার বই মেলায় বাংলা একাডেমি চত্বরকে সদ্যপ্রয়াত কথাসাহিত্যিক শওকত আলীর নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১২টি চত্বরের মধ্যে রয়েছে শহীদ আলতাফ মাহমুদ চত্বর, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক চত্বর, অধ্যাপক অজিত কুমার গুহ চত্বর, শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দীন হোসেন চত্বর, শহীদ নূতন চন্দ্র সিংহ চত্বর, শহীদ নূর হোসেন চত্বর, শহীদ মুনীর চৌধুরী চত্বর, শহীদ আসাদ চত্বর, শহীদ কবি মেহেরুন্নেসা চত্বর, লোকশিল্পী রমেশ শীল চত্বর, ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক আবদুল হাই চত্বর।
মেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩৬টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৩৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৮৩টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত মেলায় ৫৪০টি বই প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান মেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।
মেলায় প্রবেশের জন্য রয়েছে দুটি মূল প্রবেশপথ। একটি টিএসসি অন্যটি দোয়েল চত্বর এলাকায়। এছাড়া বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার ছয়টি পথ রয়েছে। প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে র্যাব, আনসার, বিজিবি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলাজুড়ে কয়েক শাতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মেলায় স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মোশারফ হোসেন বিডি২৪লাইভকে বলেন, মেলার ভেতর এবং বাইরে, সবখানেই আমাদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। মোটকথা, নিরাপত্তার সার্থে সব ধরণের ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে।
এদিকে বই বিক্রেতারা বলছেন, দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশী থাকলেও বই বিক্রি অনেক কম। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের স্টলের ইনচার্জ বিডি২৪লাইভকে বলেন, সবাই এখন শুধু মেলা দেখেই চলে যাচ্ছে। বই বিক্রি অনেক কম হচ্ছে। তবে, কিছুদিন পর থেকে বই বিক্রি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিডি২৪লাইভ/এমআই
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: