কানাজাওয়ায় কোলাবোরেটিভ অধ্যাপক হলেন জাবি শিক্ষক

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৫:১৯ পিএম

জাপানের কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কোলাবোরেটিভ (সম্মিলিত) অধ্যাপক পদে পূনঃ নিয়োগ পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ও  বাংলাদেশের একমাত্র মশা গবেষক অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার। 

আগামী দুই বছর মেয়াদে এ নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। 

নবনিযুক্ত অধ্যাপক কবিরুল বাশার জানান, কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে  স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল পর্যায়ে গবেষকদের গবেষণা কার্যক্রমে সহায়তা, বাংলাদেশ এবং কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থী

বিনিময়, বিভিন্ন  দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ গবেষণা কার্যক্রমে সহায়তা করবেন তিনি।

নিয়োগপত্র পেয়ে তিনি অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,  কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে যোগ্য মনে করে  পুনরায় নিয়োগ দিয়েছে। এটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় তথা আমার জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। 

সাম্প্রতি তার গবেষণা কার্যক্রমসমূহে অভাবনীয় অগ্রগতি পুনরায় নিয়োগে বড় ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করেন তিনি।

এ নিয়োগের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুযোগ পাবে। একই সাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার গভীর  সম্পর্ক  এবং যৌথ গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত হবে বলে জানান অধ্যাপক বাশার।

উল্লেখ্য, কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা নিয়ন্ত্রনে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন।

প্রফেসর ড. বাশার বাংলাদেশের জাতীয় চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রন কমিটির একজন সম্মানিত সদস্য। তার পরামর্শ ও সহায়তায় সরকার গত বছর সফলভাবে চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রনে সক্ষম হয়েছে। এরই মধ্যে তার ২৬ টি গবেষণা প্রবন্ধ পৃথিবীর বিখ্যাত জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য ও সফল গবেষণাকর্মের মধ্যে রয়েছে- সূর্যকন্যা গাছের মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রন করা, ব্যাঙ ও ফড়িং এর মাধ্যমে মশা নিয়ন্ত্রন এবং মশা নিয়ন্ত্রে আলোক ফাঁদ প্রযুক্তির উদ্ভাবন।

ইতোমধ্যে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, জিকা এর বাহক মশা নিয়ে গবেষণা করে সফলতা অর্জন করেন এ কীটতত্ববীদ। এ গবেষণার প্রেক্ষিতে তিনি জাপান সোসাইটি ফর দা প্রমোশন অব সায়েন্স  (জেএসপিএস) পদক পেয়েছেন।

বিডি২৪লাইভ/এমআরএম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: