ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মারামারি

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৬:৫০ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়স্থ বিনোদপুর এলাকায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মারামারিতে দুই ছাত্রলীগনেতাসহ আহত হয়েছে তিনজন। এঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ। 

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে বিনোদপুর বাজারে এঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক মাহমুদ বনি, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. রাসেল ও বনি গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী মিঠু।

এদিকে আটককৃত দুইজন হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাসেলের ফুফাত ভাই সবুজ ও তুষার। সবুজের বাবার নাম আবর আলী বলে জানা গেছে। তবে তুষারের বাবার নাম জানা যায় নি। তারা সবাই বিনোদপুরের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকেলে আটকহওয়া বিনোদপুরে চা খেতে এসেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা রাসেল। পূর্ব শত্রুতার জেরে রাসেলকে দেখে বিনোদপুরে অবস্থান করা অনিক মাহমুদ বনি খারাপ ভাষায় সম্মোধন করে এবং রাসেলের কাছে অস্ত্র আছে দাবি করে সাথে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে রাসেলের উপর হামলা করে বনি গ্রুপের নেতারা। এতে রাসেলের নাক থেকে রক্ত বের হয়। 

যা দেখে রাসেলের ফুফাত ভাই তেড়ে এসে বনির উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং ঘটনাস্থলেই বনির উরুর উপর ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এঘটনায় বনিকে বাঁচাতে এসে রাজশাহী কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মিঠুও ছুরিকাঘাতের শিকার হন। ছুরিকাঘাতে আহত বনি ও মিঠুকে  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা রামেকের ৫ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। 

এদিকে ঘটনার কিছুক্ষনের মধ্যেই উপস্থিত হন মতিহার থানা পুলিশ। এসময় সবুজ ও তুষারকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন তারা। 

তবে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা জানান, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে স্থানীয় ৩০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের একটি মিছিলের প্রস্তুতি চলছিল। তবে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বনির চাচা শহিদুল ইসলাম শহিদকে ব্যাতি রেখেই মিছিলটি করতে চাচ্ছিল যুবলীগ নেতারা। এঘটনায় বনি মিছিলটি ভন্ডুল করতে বিনোদপুরে অবস্থান করছিলেন। পরে এঘটনা ঘটে। 

এদিকে বিষয়টি রাবি ছাত্রলীগের নয় বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। বিষয়টি স্থানীয়দের দাবি করে তিনি বলেন ঘটনার সাথে বিশ^বিদ্যালয়ের কোন সম্পৃক্ততা নেই।  

জানতে চাইলে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বিডি২৪লাইভকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে এতে তিনজন আহত হয়। আহতদের ২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেকে) ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। 

এদিকে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান তিনি। 


বিডি২৪লাইভ/এমআরএম

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: