প্রিয়ার মামলায় কোর্টের রায়

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১২:৩৪ এএম

ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে ইউটিউবে রিলিজ হয়েছিল মালায়লাম সিনেমা ‘অরু আদার লাভ’-এর একটি মিউজিক ভিডিও। ‘মানিকইয়া মালারাইয়া পুভি’ নামের গানের ভিডিওতে অভিনয় করেছিলেন কলেজ পড়ুয়া প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিওর। রিলিজ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে ভ্রুর সাহায্যে চোখের অভিব্যক্তির মাধ্যমে প্রিয়া যেভাবে সহপাঠীর সঙ্গে প্রেম করেছেন তা দেখেই ফিদা তরুণ নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষাধিকবার প্রিয়ার গানটি শেয়ার হয়। এতেই ভাইরাল হয়ে যায় প্রিয়া, যদিও সিনেমার কোন মূল চরিত্রে নেই তিনি।

কেরালায় জন্ম নেওয়া মালায়লাম ছবির এই নবাগত নায়িকা গুগল সার্চ লিস্টে পাল্লা দিচ্ছেন ক্যাটরিনা কাইফ, আলিয়া ভাটদের মতো হেভিওয়েট নায়িকাদের সঙ্গে। প্রিয়ার বেশ কিছু ভিডিও ইন্টারনেট সেনসেশনে পরিণত হওয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের বাইরেও।

প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিওর নামটি মুখে নিলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একটি ভিডিও। দক্ষিণী চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রীর ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি। যাতে চোখের ইশারায় এক তরুণকে কুপোকাত করতে দেখা যায় তাকে। তা নিয়ে হইচই পড়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এর কিছুদিন পর প্রিয়া প্রকাশের ওই গানই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। এমনই অভিযোগ তুলে হায়দ্রাবাদের একদল মুসলমান যুবক অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়। ওই গানের নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়েছে।

কিন্তু অবশেষে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন মালয়লাম অভিনেত্রী প্রিয়া প্রকাশ ভারিয়ার। নবতম ইন্টারনেট সেনসেশনের বিরুদ্ধে যাবতীয় ফৌজদারি প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শুধু তাই নয়, আগামী দিনেও কোনও রাজ্যে মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ এনে প্রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

প্রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মালয়লাম ফিল্ম ওরু আদার লভ-এ ‘মাণিক্য মালারায়া পুভি’ গানটির মাধ্যমে মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবনায় আঘাত করেছেন। ওই গানটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে যাওয়া প্রিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হতে থাকে।

হায়দরাবাদের মুসলিম সংগঠনের দায়ের করা মামলা ছাড়াও আরও দুটি মামলা দায়ের হয় মুম্বাই এবং ঔরঙ্গাবাদে। তারই বিরুদ্ধে মঙ্গলবার দেশটির শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন প্রিয়া ও ছবির পরিচালক ওমর আব্দুল ওয়াহাব এবং প্রযোজক জোসেফ ভালাকুজি ইয়াপেন। শিল্পীর ভাব প্রকাশের মৌলিক অধিকার দাবি করে, তাঁদের বিরুদ্ধে হওয়া সব মামলা খারিজ করার আর্জি জানান তাঁরা।

সুপ্রিম কোর্ট জরুরি ভিত্তিতে এই পিটিশনের শুনানিতে রাজি হয়ে যায়। বুধবার রায়ে আদালত জানিয়েছে, প্রিয়া ও ওই ছবির পরিচালক ও প্রযোজকের বিরুদ্ধে যাবতীয় আইনি পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: