যেভাবে মশার কামড় থেকে বাঁচবেন
মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো মারাত্মক রোগ বিশ্ব থেকে দূর করা যায়নি। এ রকম রোগে আক্রান্ত অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত।
তাই মশার বংশবৃদ্ধি মোকাবিলা করে তার প্রকোপ কিছুটা কমানো যায়।
চলুন জেনে নেই মশা ও পোকামাকড় থেকে দূরে থাকার কিছু উপায়-
১. মিষ্টি জাতীয় খাবার দূরে রাখুন
যে কোনো ‘মিষ্টি’ খাবার বিভিন্ন পোকামকড়কে কাছে টানে৷ এদের মধ্যে অন্যতম মৌমাছি৷ তাই খাবার টেবিল থেকে মৌমাছি সহ অন্যান্য পোকাকে দূরে রাখতে এক গ্লাস মিষ্টি কোকাকোলা বা মিষ্টি পানীয় দূরে কোথাও রেখে দিন৷ এরপর পোকামাকড়ের অত্যাচার ছাড়াই নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন৷
২. একেবারে চুপচাপ, শান্ত থাকুন
মৌমাছি বা ভিমরুল জাতীয় পোকামকড় আপনার কাছাকাছি ঘুরলে বা বিরক্ত করলে একেবারে শান্ত থাকুন৷ কেননা, এই জাতীয় পোকামকড় মারতে গেলে ওরা তখন আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে৷ কাজেই এমনটি করা থেকে সাবধান হন।
৩. মশার কালো পোশাক পছন্দ
মশার কালো বা গাঢ় রঙের পোশাক পছন্দ করে৷ এ কারণে যেখানে মশা রয়েছে, তাই সেখানে হালকা রঙের পোশাক পড়ে থাকায় উত্তম। বিশেষ করে রাতের বেলায়৷
৪. সুগন্ধী মশাকে কাছে টানে
মানুষের মতোই মশারও প্রিয় সুগন্ধী। এ কারণে পারফিউম, হেয়ার স্প্রে বা সুগন্ধী প্রসাধনী পারত পক্ষে ব্যবহার না করাই ভালো৷
৫. দরজা-জানালায় নেট ব্যবহার করুন
মশা ও পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে দরজা-জানালায় নেট লাগিয়ে নিন৷ বিশেষ করে যেগুলো প্রায়ই খোলা থাকে সেসব দরজা-জানালায় নেট লাগানোই ভালো৷
৬. লেবু ও টমেটো গাছ
মশা ও পোকামাকড়ের অত্যাচার দূর করতে চাইলে দরজা বা জানালার কাছে সম্ভব হলে টমেটো গাছ ও লেবু গাছ লাগাতে পারেন। কারণ, এই গাছগুলো পোকামাকড়কে দূরে রাখে৷
৭. লবঙ্গ, ল্যাভেন্ডার
লবঙ্গ, ল্যাভেন্ডার বা লেবুযুক্ত তেল গায়ে মাখতে পারেন৷ যদিও এসবের স্থায়ীত্ব বেশিক্ষণ নয়, তারপরও কিছুটা কাজে লাগে৷
৮. মশা বা পোকামাকড় কামড় দিলে
মশা, মৌমাছি বা পোকামাকড় যদি কামড় দেয় তাহলে সাথে সাথেই ভেজা কাপড় দিয়ে কামড়ের জায়গাটি মুছে নিয়ে সেখানে আয়োডিন লাগিয়ে নিন৷ সবচেয়ে ভালো হয় যদি একটি পেঁয়াজকে অর্ধেক করে তার একটি অংশ কামড়ের জায়গায় ভালো করে ঘষে দেওয়া যায়৷
৯. মুখের ভেতর বা ঠোঁটে কামড়ালে
যদি মশা বা পোকামাকড় মুখের ভেতর কিংবা ঠোঁটে কামড় দেয়, তাহলে তা ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে৷ এমনকি ডাক্তারের কাছে পর্যন্ত যেতে হতে পারে৷ এক্ষেত্রে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বরফ শীতল পানি দিয়ে গার্গল করা এবং এক টুকরো বরফ মুখে পুরে লজেন্সের মতো চোষার পরামর্শও দিয়ে থাকেন।
১০. ক্ষতস্থানে চুলকাবেন না!
ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ এড়াতে কোনো ভাবেই ক্ষতস্থানে চুলকাবেন না৷ কারণ, শুধুমাত্র চুলকানোর কারণেই হয়ত ক্ষতস্থান আরো ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে৷
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: