খালেদার আপিল গ্রহণ, জামিন শুনানি রোববার; অর্থদণ্ড স্থগিত

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০১:১১ পিএম

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে করা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেছেন আদালত।

এছাড়া জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানি আগামী রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।

এদিকে আজ সকালে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আপিল শুনানির কথা থাকলেও পরে তা দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয়।

এর আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আপিল গ্রহণের জন্য আবেদন জানালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রস্তুতির জন্য দুই ঘণ্টা সময় চান। আদালত তখন দুপুর ১২টায় শুনানি শুরুর আদেশ দেন। শুনানিতে আদালতে খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এ সময় আদালত খালেদা জিয়ার আপিলের আবেদন গ্রহণ করে জরিমানার বিষয়টি স্থগিত করেন। পরে জামিনের ওপর শুনানি শুরু হয়। আদালত শুনানি শেষে আগামী রোববার দুপুর পর্যন্ত তা মুলতবি রেখেছেন।

আদালতে জামিনের ওপর যখন শুনানি শুরু হয়। তখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান মামলার নথি দেখে প্রস্তুতির জন্য আদালতে সময় চান। এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী রোববার পর্যন্ত শুনানি মুলতবির আদেশ দেন। পাশাপাশি আদালত ১৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতের কাগজপত্র জমা দিতে বলেন।

এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আবদুর রেজাক খান, খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ।

এর আগে আজ সকালে ৩১টি যুক্তি দেখিয়ে হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা। এছাড়া, গত ২০ ফেব্রুয়ারি আইনজীবীদের মাধ্যমে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আপিলে ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়।

১২ ফেব্রুয়ারি ৬৩২ পৃষ্ঠা রায়ের সার্টিফাইড কপির জন্য তিন হাজার পৃষ্ঠার কার্টিজ পেপার আদালতে জমা দেন খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার হয়। রায় ঘোষণার পরপরই বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত থেকে গ্রেফতার করে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন ওই কারাগারে আছেন।

বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া এ মামলায় অপর যে চার আসামিকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তারা হলেন, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: