আইন অনুযায়ী কার্যকর হলো শাকিব-অপুর বিবাহ বিচ্ছেদ

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৩:২৯ পিএম

ঢালিউড নায়ক শাকিব খান ও নায়িকা অপু বিশ্বাস দম্পতির আইন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কার্যকর হলো বিবাহ বিচ্ছেদ।

গত ২২ নভেম্বর থেকে শুরু করে আজ ২২ ফেব্রুয়ারি তিন মাস পূর্ণ হলো অপু বিশ্বাসকে পাঠানো তার স্বামী চিত্রনায়ক শাকিব খানের তালাকনামা। এই দম্পতির এর মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। এ কারণে আইন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই আলোচিত তারকা দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়ে গেছে।

অপু বিশ্বাস প্রথমে বিরোধিতা করলেও পরে অবশ্য শাকিবের তালাক মেনেও নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে বিয়ে করেছিলেন ঢালিউডের এই তারকা জুটি। কিন্তু শাকিব-অপু এটা গোপন রাখেন। দীর্ঘ দিন একসঙ্গে সংসার করলেও বিয়ের বিষয়টি যানত না কেউ।

গত বছর বিয়ের খবর ফাঁস করে দেন অপু বিশ্বাস। যা শোবিজ জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এরপর তাদের দীর্ঘ দাম্পত্যের নানা খুঁটিনাটি-মতবিরোধ সামনে এসেছে। বিয়ের খবর প্রকাশ করার পরপরই শাকিব-অপুর সম্পর্কের অবণতি হয়। যার চূড়ান্ত রূপ পায় নভেম্বরে। শাকিব তার আইনজীবীর মাধ্যমে তালাকের নোটিশ পাঠান অপুকে।

ডিএনসিসি অবশ্য শাকিব-অপুর মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেছিল। এ ব্যাপারে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন বলেন বেশ কিছু পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে , যে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিচ্ছেদ আজ কার্যকর হলো। বিষয়টা আসলে তা নয়। শাকিব খান যেদিন স্বাক্ষর করেছিলেন, সেদিন থেকে তিন মাস পর কার্যকর হবে ব্যাপারটা এমন নয়। আমরা সিটি করপোরেশন তাদের তিন মাসে তিনবার ডাকব, সেই তৃতীয়বার বিষয়টির ফয়সালা হবে। যে কারণে আজ তাদের বিচ্ছেদ বা পুনরায় সংসার শুরু কোনোটাই হচ্ছে না।’

হেমায়েত হোসেন আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা দুবার তাঁদের ডেকেছি। প্রথমবার অপু বিশ্বাস এলেও শাকিব খান বা উনার কোনো প্রতিনিধি আসেননি। দ্বিতীয়বার তাঁরা কেউই আসেননি। আগামী ১২ মার্চ আমাদের তৃতীয় বৈঠক। সেখানে যদি তাঁরা না আসেন, তা হলে আমরা মামলা খারিজ করে দেবো। তাঁরা যেহেতু কেউ আসছেন না, আমরা বুঝে নেব তারা আর একসঙ্গে থাকতে চান না। আর এ বিষয়ে একজন এসে লাভ নেই। এলে দুজনকেই আসতে হবে।’ ঊল্লেখ্য পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ অনুযায়ী ‘নোটিশপ্রাপ্তির ৩০ দিনের ভিতর চেয়ারম্যান পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পুনর্মিলন স্থাপনের উদ্দেশ্যে একটি সালিশি কাউন্সিল গঠন করিবেন এবং এই কাউন্সিল পুনর্মিলন ঘটাইবার জন্য সমস্ত প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’ আর সে অনুসারেই সিটি কর্পোরেশন এগুচ্ছে।

প্রথম বৈঠকে অপু বিশ্বাস হাজির হলেও শাকিব কিংবা তার কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। এরপর ‘কোন লাভ হবে না’ জেনে দ্বিতীয় বৈঠকে অপুও তাতে আর যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে প্রায় ১০ বছরের মাথায় অবসান ঘটল শাকিব-অপু অধ্যায়ের। শাকিব-অপুর ঘরে তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এই দম্পতির একমাত্র ছেলের নাম আব্রাম খান জয়।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে আমজাদ হোসেনের কাল সকালে ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন অপু বিশ্বাস। ২০০৬ সালে এফআই মানিক পরিচালিত কোটি টাকার কাবিন ছবিতে প্রধান নায়িকা হয়ে অভিনয় করেন শাকিব খানের বিপরীতে। অপু বিশ্বাস ৭২টি ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন।

অপু বিশ্বাস ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল নায়ক শাকিব খানকে গোপনে বিয়ে করেন। ২০১৭ সালে একটি টেলিভিশনে সরাসরি সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস শাকিব খানের সঙ্গে তার বিয়ের কথা প্রকাশ করেন। অপু ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হন এবং নাম পরিবর্তন করে রাখেন অপু ইসলাম খান। বিয়ের পর ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে কলকাতায় তাদের পুত্র সন্তান আব্রাহাম খান জয় জন্মগ্রহণ করেন।

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: