২৩ জনের জানাজা সম্পন্ন

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৮, ০৫:৪৪ পিএম

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমান বন্দরে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত ২৩ জনের জানাজা আর্মি স্টেডিয়ামে শেষ হয়েছে। জানাজা শেষে মরদেহগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে সকালে নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিহতদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলো আর্মি স্টেডিয়ামে পৌঁছায়। মরদেহগুলো আর্মি স্টেডিয়ামে স্থাপিত বিশেষ মঞ্চে নিয়ে যেতে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সেখানে উপস্থিত স্বজনরাসহ সবাই। এসময় সেখানে এক শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এর আগে বিকেল ৪টা ৫মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে নিহত ২৩ জনের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছে। সেখান থেকে ৪টা ৪৫ মিনিটে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলো আর্মি স্টেডিয়ামের উদ্দেশে রওনা হয়।

এই ২৩ জনের মধ্যে পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথূলা রশীদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন মো. শফি ও শারমিন আক্তার নাবিলা রয়েছেন। আর যাত্রীদের মধ্যে ফয়সাল আহমেদ, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান, হাসান ইমাম, আঁখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, ফারুক হোসেন প্রিয়ক, তার মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী তামারা, মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভিন শশী রেজা, বেগম উম্মে সালমা, মো. নুরুজ্জামান, রফিক জামান, তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা, তাদের ছেলে অনিরুদ্ধ জামানের মরদেহ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ৬৭ জন যাত্রী ও চার ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি। এতে মারা যান ৫১ জন। বিমানে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৬ জন। তাদের মধ্যে ২৬ জন নিহত হন যাদের ২৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।

 

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: