মেয়েকে বিয়ের ৬ মাস পর শাশুড়িকে বিয়ে!
ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের চণ্ডিপুর গ্রামে মালদ্বীপ প্রবাসী শ্বশুরের পাঠানো অর্থ আত্মসাতের লোভে নূর ইসলাম নামে এক যুবক মেয়েকে বিয়ের ৬ মাস পর শাশুড়িকেও বিয়ে করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ মে) ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় মেম্বারের কাছে তাদের বিচারের জন্য দেয়া হয়।
নূর ইসলাম (৩০) ওই এলাকার মোহাম্মদ দফাদারের ছেলে। তিনি একজন রাজমিস্ত্রি।
জানা গছে, গত সাড়ে তিন বছর আগে ওই এলাকার জলিল মোল্যা মালদ্বীপ যান। এর পর তিনি সব টাকা তার স্ত্রীকে পাঠাতেন।
স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে চণ্ডিপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গ্রামের জলিল মোল্যার বাড়িতে নূর ইসলাম রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যান। কাজের ফাঁকে ওই বাড়ির মেয়ে জেনির (১৫) সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন তিনি। পরে তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের চার মাস পর শ্বশুরের পাঠানো টাকার লোভে শাশুড়ি ঝর্না বেগমকেও (২৯) আদালতের মাধ্যমে (কোর্ট ম্যারেজ) বিয়ে করেন তিনি।
ঘটনাটি জানাজানি হলে মা-মেয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে নূর ইসলাম শাশুড়ি ঝর্না বেগমকে নিয়ে চণ্ডিপুর গ্রামে এলে এলাকার মানুষ বিষয়টি নিয়ে নানা কথাবার্তা শুরু করে। গ্রামবাসী তাদের আটক করে স্থানীয় মেম্বার মো. কাউসারের জিম্মায় দেন এর উপযুক্ত বিচারের জন্য।
শাশুড়ি ঝর্না বেগম বলেন, আমার মেয়ে জেনির সঙ্গে গত এক বছর আগে নূর ইসলামের কোর্ট ম্যারেজ হয়েছে। এর পর গত চার মাস আগে নূর ইসলাম আদালতে নিয়ে আমাকে বিয়ে করে। আমার মেয়ের কোনো সন্তানাদি নেই। বর্তমানে আমি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা
মাচ্চর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. কাউসার বলেন, রোজার প্রথম তারাবিহ নামাজের কারণে আমি চৌকিদার মক্কাছের জিম্মায় ওদের রেখে এসেছি। কিন্তু পরে জানতে পারলাম সেখান থেকে ওরা উভয়েই পালিয়েছে।
এ বিষয়ে মাচ্চর ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বিডি২৪লাইভ/এমআরএম
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: