যে ৬ কারণে বিশ্বকাপ জিতবে ব্রাজিল

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০১৮, ০৩:১৯ পিএম

বেজে উঠেছে বিশ্বকাপের ঘণ্টা। আর মাত্র ২৭ দিন পর রাশিয়ায় বসবে বিশ্ব ফুটবলের ২১তম এই আসর। তবে ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে সফলতম দল হচ্ছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত পাঁচবার শিরোপা জয়ের স্বাদ নিয়েছে এই দলটি। ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে ঘরে তুলেছিল বিশ্বকাপ ট্রফি। সর্বশেষ ২০০২ সালে বিশ্বকাপ ট্রফির স্বাদ নিয়েছিল নেইমারের ব্রাজিল। যে দলটি সর্বাধিক পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেও, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে রয়েছে শিরোপা ছাড়া। ব্যাপারটা কেমন দেখায়?

এবার সবার আগে বাছাইপর্ব পেরিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে নাম লিখিয়েছে ব্রাজিল, বরাবরের মতো টুর্নামেন্টের ফেবারিট হিসেবেই আছে ব্রাজিল ফুটবল দল। ব্রাজিলের জয়ের স্বপ্নটা যার কাঁধে, সেই নেইমার তো শিরোপা জয়ের বিকল্প কিছু ভাবছেনই না।

বিশ্ব ফুটবলের ২১তম এই আসরের জন্য মিশনে ইতিমধ্যে দল ঘোষণা করেছেন কোচ তিতে। এবার দলটির সেই সাধ পূরণ হবে বলেও প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে। ব্রাজিলের লক্ষ্য হেক্সা (ষষ্ঠ শিরোপা)।

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সোনালি ট্রফি জয়ের প্রবল সম্ভাবনা আছে বিশ্ব ফুটবলের ২১তম এই আসরে! কোন অদৃশ্য কারণে তাদের এগিয়ে রাখা হচ্ছে রাশিয়া বিশ্বকাপে? তা বিশ্লেষণের প্রয়াস করা হল-

সেরা মানের গোলরক্ষক : রাশিয়া বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলে রয়েছে বিশ্বমানের গোলরক্ষক। প্রথম পছন্দ ২৫ বছর বয়সী অ্যালিসন রোমার হয়ে দুর্দান্ত খেলছেন। তার অসাধারণ নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল খেলেছে দলটি। সিরিআতে রেখেছেন সেরার লড়াইয়ে। তার বিকল্প হিসেবে জায়গা পাওয়া এডারসন ও ক্যাসিওতেও আছে আস্থা।

মজবুত রক্ষণভাগ: সমসাময়িক ফুটবল বিশ্বে অন্যতম সেরা রক্ষণসেনা থিয়াগো সিলভা। তার টেকনিক, বল কাড়া ও ট্যাকল দক্ষতা নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রশ্ন তোলার কোনো উপায় নেই। সেই সঙ্গে আছেন সময়ের সেরা মার্সেলো,দানিলো, মারকুইনহোস, মিরান্দারা। স্বাভাবিকভাবেই এ মুহূর্তে বিশ্বের সেরা রক্ষণভাগ ব্রাজিলের।

অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ মিডফিল্ড: গোলরক্ষককে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সিলভা-মার্সেলোদের ঠিক সামনেই আছেন ফিলিপে কুতিনহো, উইলিয়ান, পাওলিনহো, কাসেমিরোরা। তারা যেমন বল নিয়ে খেলতে পারেন, তেমন খেলাতে পারেন। গোল করতেও সামন পারদর্শী। অভিজ্ঞতাসমন্ন এসব মিডফিল্ডরাই হেক্সা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্রাজিলিয়ানদের।

নেইমারের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল নয়: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা একক খেলোয়াড়ের ( লিওনেল মেসি) ওপর নির্ভরশীল হলেও ব্রাজিল নয়। অবশ্যই দলটির সেরা তারকা নেইমার এবং তার ওপর বেশি আস্থা রাখছে তারা। তবে তার পাশে গ্যাব্রিয়েল জেসুস, ডগলাস কস্তারা কম যান না। নিজেদের দিনে আলো কেড়ে নিতে পারেন তারাও। বিকল্প হিসেবে হাতে আছে রবার্তো ফিরমিনোও টাইসনের মতো গোলমেশিন।

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স : ব্রাজিলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সই ভক্ত-সমর্থক, বোদ্ধা-বিশ্লেষকদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। লাতিন আমেরিকা থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছেন নেইমাররা। এই তাদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। বাছাইপর্ব পরবর্তী বিশ্বকাপ প্রস্তুতি মিশনেও সমান উজ্জ্বল তারা।

বিতর্কের ঊর্ধ্বে কোচ: চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বিচারে ব্রাজিলের আগের দুই কোচের চেয়ে অনন্য তিতে। সবার সঙ্গেইরয়েছে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক। তার অধীনে সেরাটা দিতে মরিয়া সবাই। বেশ দক্ষতার সঙ্গেই সামলান মিডিয়া। দুঙ্গার উত্তরসূরি হিসেবে দলের দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার পর এখন পর্যন্ত তাকে কোনো বিতর্ক ছুঁতে পারেনি। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের সবাই ভালোবাসেন, সম্মান করেন তিতেকে।

বিডি২৪লাইভ/আইএইচ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: