কীটনাশক জাতীয় একপ্রকার ঔষধের জেনেটিক বা গ্রুপ নাম হলো অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড। বাজারে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট আকারে ফসটক্সিন, সেলফস, কুইকফস, কুইকফিউম, ডেসিয়াগ্যাস এক্সটি ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। অ্যলুমিনিয়াম ফসপাইড ট্যাবলেট গ্যাস ট্যাবলেট নামেও পরিচিত।
এই ট্যাবলেট সাধারণত গুদামজাত শস্যের পোকা দমন, ধান ক্ষেতের পোকা দমন, কলা গাছের গুঁর পোকা দমন ও ইঁদুর দমনে ব্যবহার হয়ে থাকে।
তবে এটি ব্যবহার করা নিয়ে রিস্ক নিতে নিষেধ করেছেন মাহবুব কবির মিলন। যিনি যুগ্ন সচিব, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ। বুধবার তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই অনুরোধ করেন। স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
“Aluminum phosphide (AlP) এক প্রকার মারাত্মক বিষাক্ত কীটনাশক, যা আমাদের দেশে ট্যাবলেট আকারে সহজলভ্য। ছারপোকা দমনে প্রায় যথেচ্ছাচার ব্যবহার হচ্ছে এই ট্যাবলেট। Aluminum phosphide বাতাসের সংস্পর্শে এসে জীবন বিনাশী ভয়াবহ টক্সিক গ্যাস phosphine উৎপাদন করে।
আমার এক কাজিন কীটনাশকের ব্যবসা করে। গ্রামেগঞ্জে এই ট্যাবলেট ইঁদুর মারার কাজে ব্যবহৃত হয়। ইঁদুরের গর্তে একটি ট্যাবলেট ফেলে দিলেই ক্ষেতের ঐ জায়গার সব ইঁদুর শেষ। সেই ভাই বলল, প্যাকেট খুলে দুই একটি ট্যাবলেট বিক্রি করতে গেলে সেকেন্ডের মধ্যে তা হস্তান্তর করতে হয়। এরপরেও তার প্রচন্ড মাথা ব্যথা শুরু হয়। এই ট্যাবলেট বৈধভাবে কীটনাশকের দোকানে বিক্রি হয়।
কিন্তু যারা ছারপোকা মারার জন্য রুমের দরজা জানালা বন্ধ করে ভিতরে ট্যাবলেট ফেলে চলে যাচ্ছেন এবং কিছু সময় পরে এসে রুম খুলে ফ্যান চালিয়ে দিচ্ছেন, তাঁরা ভাবতেও পারবেন না নিজের কতবড় ক্ষতি করছেন আপনারা। কারণ আপনি জানেন না যে, রুমে ঢোকার পর phosphine gas সম্পূর্ণ দূরীভূত হয়ে গেছে কিনা।
পেস্ট কন্ট্রোল এক ভয়াবহ জটিল বিষয়। এর জন্য এক্সপার্ট লোক লাগে, এর জন্য তৈরি হয়েছে অনেক কোম্পানি।
Aluminum phosphide (AlP) নিয়ে কখনোই রিস্ক নেবেন না প্লিজ। এমনিতেই তো আমাদের জীবন যাচ্ছে বিষাক্ত পরিবেশে।”
পাঠকের মন্তব্য: