হত্যা মামলায় সাক্ষ্যের গড়মিলের কারণে পিরোজপুর বিচারিক আদালতে চার মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং তিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ মামলায় বিচারিক আদালত চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন খারিজ এবং আসামিদের আপিল গ্রহণ করে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ, শেখ আলী আহমেদ খোকন ও মো. আব্দুর রাজ্জাক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
শুনানি শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ বলেন, ‘ঘটনার সময় এ মামলার এক আসামি জেলে ছিলেন। কিন্তু একজন সাক্ষী জেলে থাকা আসামির বিরুদ্ধেও সাক্ষ্য দিয়েছেন। এতে বোঝা যায়, সাক্ষী বিশ্বাসযোগ্য ছিল না। এ রকম কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সব আসামি খালাস পেয়েছেন।’
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভিটাবাড়িয়া গ্রামের জালাল সরদারের ছেলে বাদল সরদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০০৩ সালে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের এক আদেশে মামলাটি বিচারের জন্য পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১ জুলাই ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ এস এম সোলায়মান রায় দেন। রায়ে ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের শহীদ শিকদার, দুলাল শিকদার, বাদল শিকদার ও নিজাম শিকদারকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সালাম সরদার, উত্তর ভিটাবাড়িয়া গ্রামের হারুন শিকদার ও মিনু সিকদারকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন। এছাড়া অপর ছয় আসামিকে খালাস দেন।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এর শুনানি শেষে আজ সব আসামির খালাস দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
পাঠকের মন্তব্য: