কুমিল্লা- ৫ আসনের উন্নয়নে তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান

কুমিল্লা- ৫ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশী দিদার মোঃ নিজামুল ইসলাম বলেছেন, 'তরুণ যুব সমাজই পারে দেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, তারুণ্যই শক্তি একই কাথাটি বুকে ধারন করে আগামী দিনগুলোতে কুমিল্লা- ৫(বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের জনগনের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।' আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা সভায় এসকল কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, 'কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ভাইয়ের উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা ছিল তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তরুন ও যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমি ২০০৪ সালে শশীদল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ, ঢাকা ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল কলেজ থেকে ২০০৬ সালে কৃতিত্বের সাখে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে ২০০৬-০৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমাসের আদর্শ ও বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি প্রবল ভাললাগার কারনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রঙ্গনে প্রথম দিন থেকেই শিক্ষা, শান্তি প্রগতির পতাকাবাহী বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি।' নিজামুল ইসলাম আরও বলেন, '২০০৭ সালে তৎকালীর বিএনপি জামাত সমর্থিত অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ছাত্রদল ও ছাত্র শিবিরের চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী ছাত্র বন্ধুদের ক্যাম্পাসে সু-সংগঠিত করার মাধ্যমে ছাত্রলীগের পতাকা তলে সকল অকুতোভয় মুজিব সেনাদের একত্রিত করে সক্রিয় ভাবে কাজ করি। ২০০৭ সালে ১/১১ পরবর্তী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করি। ২০১৩ ও ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার এর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল-ছাত্র শিবিরের নাশকতা কঠোর ভাবে প্রতিহত করতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করি।' তিনি শেষে বলেন, '২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামাত জোটের দ্বারা পেট্রোল বোমা ও জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন প্রতিহত করতে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সক্রিয়ভাবে রাজপথে থেকে অংশ্রগ্রহন করি।' দিদার মোঃ নিজামুল ইসলাম ২০১০-১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২-১৩ সালে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় সলিমুল্লাহ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সর্বশেষ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালণ করেন।