ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সেকেন্দার আলম (৪০) নামের এক স্থানীয় সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পবনবেগ পূর্বপাড়া নামক এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে সেকেন্দার আলম গুরত্বর অসুস্থ থাকায় কি কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে তা তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।
গুরুত্বর আহত সাংবাদিককে প্রথমে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার আরো অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সেকেন্দার আলম স্থানীয় "আমাদের আলফাডাঙ্গা" নামক একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন ও আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাংবাদিক সেকেন্দার আলম নিজ বাড়িতে ইফতার শেষে মোটরসাইকেলে করে পবনবেগ যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হঠাৎ তার মুঠোফোনে একটি কল আসে। তিনি গাড়িটি থামিয়ে কলটি রিসিভ করে কথা বলতে থাকেন। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক দল দুর্বৃত্ত তার ওপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, ‘গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক সেকেন্দার আলমকে প্রথমে আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তিনি বলেন, তাঁর মাথায় মারাত্মক জখমের চিহ্ন রয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের মধুখালী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: আনিসুজ্জামান বলেন, এব্যাপারে আহত সাংবাদিকের পরিবারের পক্ষ থেকে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ অপরাধীদের সনাক্ত করতে জোর তৎপর চালাচ্ছে।
এদিকে, সাংবাদিক সেকেন্দার আলমের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মরত সাংবাদিক, রাজনীতিক ও সুশীল সমাজের লোকজন। সেই সাথে অপরাধীদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানানো হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।
পাঠকের মন্তব্য: