কুমিল্লার হাবিবুর রহমান ঢাকাতে ব্যবসা করতেন তিনি। ভালই চলছিলো তার ব্যবসা। হঠাৎ করে তার ব্যবসায় নেমে আসে দুর্গতি। এতে করে পুঁজি হারিয়ে অসহায় হয়ে যায় সে। এর পরে তিনি ঢাকায় অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিংয়ের কাজ বেছে নেন। প্রথমে তিনি বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে মোটরসাইকেলের চালাতেন। এভাবেই বেশ কিছু দিন বাইক চালিয়ে যান তিনি। তার পর অ্যাপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তিনি। তার সাথে এ নিয়ে বিস্তারিত কথা হয় এই প্রতিবেদকের।
হাবিবুর রহমান জানান, দুই বছর পূর্বে অ্যাপভিত্তিক মোটরসাইকেল রাইড শেয়ারিংয়ের কাজ শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে অ্যাপের প্রতি তার অনাগ্রহ বাড়তে থাকে। কারণ দিন দিন বাইকের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও যাত্রীর সংখ্যা বাড়েনি। যখন বাইকের সংখ্যা বেড়ে যায় তখন অ্যাপের মাধ্যমে তেমন কলও আসে না। তাই অ্যাপ ছাড়া যাত্রীদের সাথে কন্টাক্ট করে বাইক চালান তিনি।
তিনি বলেন, অ্যাপ সবসময় ব্যবহার না করলেও যখন অফার আসে তখন ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, অ্যাপে রাইড শেয়ারিংয়ের কোম্পানিদেরকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ টাকা দিয়ে দিতে হয়। এতে আমাদের কষ্ট কর হয়ে যায়। তাই অ্যাপ ব্যবহারে আমার অনাগ্রহ তৈরি হয়। অ্যাপ কোম্পানিগুলো যদি দশ শতাংশ করে টাকা নিত তাহলে আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকতো। অ্যাপ ব্যবহার না করার এটাও হচ্ছে অন্যতম কারণ।
তিনি আরও বলেন, এভাবে কন্টাক্ট এর মাধ্যমে বাইক চালালে আমাদের জন্য যেমন সুবিধা হয়, তেমন আবার অসুবিধাও রয়েছে। সকল যাত্রীতো আর ভালো নয়, অনেক যাত্রী মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে। আমার এক যাত্রী চেকপোস্টে মাদকসহ আটক হয়। তখন আমাকেও সমস্যায় পড়তে হয়। আর এমন ঝুঁকি নিয়েও বাইক চালাই।
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, করোনার কারণে অনেক মানুষই তাদের চাকরি হারিয়ে এই পেশায় সংযুক্ত হয়েছে। এতে করে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়লেও যাত্রীর সংখ্যা বাড়েনি। বাইক বাড়ার কারণে অ্যাপ থেকে খুব কমসংখ্যক কল আসে। তাই আমরা অ্যাপ ছাড়াই কন্টাক্ট এর মাধ্যমেই বাইক চালাচ্ছি। এতে করে আমাদের সুবিধা হয়।
তিনি বলেন, অ্যাপ থেকে যখন কল আসে তখন ৮ থেকে ১০ মিনিটের পথ বাইক চালিয়ে গিয়ে যাত্রী আনতে হয়। আর কন্টাক্ট এর মাধ্যমে এই সমস্যাটা হয় না।
পাঠকের মন্তব্য: