এই বাংলাদেশের উন্নয়ন করে শেখ হাসিনা। নিকরাইল ইউনিয়নের ভূঞাপুর থানায় উন্নয়ন করেন তানভীর হাসান ছোট মনির। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হবে। নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে দেশে কোন উন্নয়ন হবে না। আবুল-টাবুল মার্কায় কেউ ভোট দেয়ার চেষ্টা করবেন না। নৌকা মার্কার বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করলে তাদের মাজার নিচে বারি ও পিটানো হবে।
শুধু তাই নয়, নৌকা মার্কার ভোট হবে টেবিলের উপরে। মতিনের ভোট নৌকার ভোট সামনে হবে। চুরি কইরা না বইলা আবার আবল-তাবল মার্কায় ভোট দিবেন না। এই দেশের ক্ষতি করবেন! সেই ব্যবস্থা কেউ নিয়েন না। এছাড়াও ইউনিয়নে এককেন্দ্রে যতগুলো ভোট আছে ততগুলো নৌকায় সিল পড়বে। অন্যকোন আবুল টাবুল মার্কায় ভোট হবে না। ২৬ তারিখে নৌকায় ভোট হবে প্রকাশ্যে, টেবিলের উপর সিল মারতে হবে।
চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত নৌকার প্রার্থী মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকারের পাথাইলকান্দী বাজারে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় পথসভায় পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার গোহালিবাড়ী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ এসব মন্তব্য করেন।
আব্দুল হাই আকন্দ তার বক্তব্যে নিকরাইল ইউপি নির্বাচনে নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও (সম্ভাব্য বিদ্রোহী) প্রার্থী মাসুদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে তাকেসহ তার নেতাকর্মীরা এলাকায় প্রবেশ করলে প্রতিহত করার হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে হাই আকন্দের প্রায় ৪ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের বক্তব্যে গতরাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ গণমাধ্যমে ফেসবুক এ ভিডিওটি ভাইরাল হলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় উঠেছে।
এদিকে, ওই দিনরাতে বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদের নেতাকর্মীরা অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে নিকরাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শোভাযাত্রা শেষে পাথাইলকান্দী বাজার এলাকায় প্রবেশ করে। এসময় নৌকার প্রার্থী মতিন সরকারের লোকজন হঠাৎ করেই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন মাসুদুল হক মাসুদ। তিনি আরও বলেন- এ ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এ অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার বলেন- মাসুদুল হক মাসুদের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পাথাইলকান্দী বাজার এলাকায় চাপা রাস্তা দিয়ে শোডাউন করছিল। সেময় লোকজন তাদেরকে সাইট হয়ে চলতে বলায় হামলা চালায় তার লোকজন।
আব্দুল হাই আকন্দের ভিডিও ভাইরালের বিষয়ে তিনি বলেন- মূলত তিনি তার বংশ বা সমাজের ভোটগুলো নৌকার বাহিরে দিলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। এরআগে পথসভায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় তার নৌকা সমর্থক বেশ কয়োজন কর্মীও আহত হয় বলে দাবি করেছেন। ভিডিও বিষয়টি গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের সদ্য নির্বাচন চেয়ারম্যান অস্বীকার করে বলেন- আমি ওই ধরণের কোন বক্তব্য প্রদান করেনি। আমি নৌকার ভোট চেয়েছি শুধু।
পাঠকের মন্তব্য: