মির্জাপুরে পৈশাচিকভাবে মাদ্রাসা ছাত্রকে খুন

মো. জোবায়ের হোসেন, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) থেকে: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শারিরিক নির্যাতন, গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ ও পায়ু পথে ধে (এক জাতীয় ছোট গাছ) ঢুকিয়ে পৈশাচিকভাবে ৭ম শ্রেনী ও হাফেজী পড়ুয়া এক ছাত্রকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই মাদ্রাসা ছাত্রের নাম সিফাত মিয়া (১৩)।
সোমবার (২৯ আগস্ট) ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মির্জাপুর পৌরসভা এলাকা ৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত জেলেপাড়ার একটি ক্ষেত থেকে সিফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সিফাত উপজেলার ভাদগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের শহীদ মিয়ার দ্বিতীয় সন্তান বলে জানা গেছে।
লাশ উদ্বারকারী উপ পরিদর্শক মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, লাশের গায়ে বেশ কিছু শারিরিক আঘাত ও নৃশসংসতার আলামত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে সিফাতের হত্যাকান্ডের সাথে একাধিক ঘাতক জড়িত।
এদিকে সিফাতের সমপাঠী ও বন্ধু নুরুল আমীন বলেন, সন্ধ্যায় সিফাতের সাথে সে বংশাই রেলক্রসিং এলাকায় চটপটি খেতে যায়। চটপটি খাওয়া অবস্থায় তাদের চাইতে বেশী বয়সী অজ্ঞাত একটি ছেলে কানে কানে সিফাতকে কিছু একটা বলার পর সিফাত তাকে বসতে বলে পশ্চিমদিকে রেলক্রসিং বরাবর চলে যায়। এরপর বেশ লম্বা সময় অতিবাহিত হলেও সিফাত ফিরে না আসায় সে বাড়ি ফিরে যায়।
অপরদিকে, সিফাত হত্যাকান্ডের সাথে প্রতিবেশী একটি ছেলে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন সিফাতের বাবা শহীদ মিয়া। তিনি বলেন, ১০-১২ দিন আগে আমার ছেলেকে মারপিট করার ঘটনায় ওই ছেলেকে স্থানীয় মাতাব্বররা জুতা পেটা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। হত্যাকান্ডের পর থেকে ওই ছেলে আত্মগোপনে চলে গেছে জানিয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর উপযুক্ত বিচার প্রত্যাশা করেন তিনি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, সিফাত হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের হচ্ছে। আমরা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: