সরকার নিষেধ করলে আর পোস্টার লাগাবেন না মিলন

প্রকাশিত: ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:৫১ এএম

রাজধানী ঢাকায় যত্রতত্র পোস্টার লাগানোর কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। ইতোমধ্যে নিজ খরচে পোস্টার তুলে ফেলতে সিটি করপোরেশন থেকে তাকে নোটিশও দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পেতেই মেট্রোরেলের স্থাপনা থেকে পোস্টার তুলতেও শুরু করেছে তার লোকজন। সেইসঙ্গে সরকার নিষেধ করলে আর পোস্টার লাগাবেন না বলেও জানিয়েছেন মিলন।

‘পোস্টার মিলন’ হিসেবে পরিচিত এই রাজনীতিকের দাবি, অন্যসব রাজনৈতিক দলের লোকজন প্রতিনিয়ত পোস্টার লাগালেও তারগুলো অনেক উপরে লাগানো হয়। যে কারণে বেশি সময় ধরে রয়ে যায়। অন্যরা নিচে লাগানোর কারণে নতুন নতুন পোস্টারে বাকিদেরটা ঢাকা পড়ে যায়। বুধবার (০৪ জানুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে পোস্টার সরাতে নোটিশ পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় সাইফুদ্দিন মিলন এসব কথা বলেন।

সাইফুদ্দিন জানান, মেট্রোরেলের স্থাপনায় যে পোস্টারগুলো আছে, মঙ্গলবার রাতে তার কিছু তোলা হয়েছে। বুধবার রাতেও লোক পোস্টারগুলো তুলতে কিংবা সরকারি কোনো স্থাপনায় পোস্টার থাকলেও সেগুলো তোলা শুরু হয়ে গেছে। যদিও আমাকে এ নিয়ে কেউ কিছু বলেনি।

বছরে মাত্র একবার পোস্টার লাগান বলেও দাবি করেন সাইফুদ্দিন। তিনি বলেন, এই বছর ছয় হাজার পোস্টার লাগিয়েছি। অথচ প্রতিদিন সরকারি দল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে শুরু করে সব রাজনৈতিক দল লাখ লাখ পোস্টার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনেও লাগায়। ওই পোস্টারগুলো নিচে লাগানো হয়, পরদিন অন্য একজনের পোস্টার ঢেকে দেয়। আর আমার পোস্টার যেহেতু একটু উঁচুতে লাগানো হয়, তাই দেখা যায়, বছরখানেক আগেরও অনেক পোস্টার থেকে যায়।

সরকার নিষেধ করলে আর পোস্টার লাগাবেন না বলেও জানান তিনি। পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন বিষয়ে জাপা নেতা সাইফুদ্দিন বলেন, পোস্টার লাগানো যদি সরকার নিষেধ করে দেয়, তাহলে কেউ পোস্টার লাগাবে না। আমরাও লাগাব না। শহর নষ্ট হোক কে চায়? সরকার বন্ধ করে দিলে কেউ লাগাবে না। অথচ সরকারি দলের অনেক নেতার প্রতি মাসে নতুন পোস্টার আসে। আর সরকারি স্থাপনা ও মেট্রোরেলে আমার লোকজনকে পোস্টার লাগাতে বারণ করেছিলাম। তারা ভুল করে লাগিয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: