ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা মাহিয়া মাহি অনেক দিন ধরেই সিনেমা তথা শুটিংয়ের বাইরে। রাকিব সরকারকে বিয়ের পর প্রথমে ঘর-সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নায়িকা। এরপর অনাগত সন্তানের জন্য কাজ থেকে বিরতি নেন। তার মাঝেই জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া একটি আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে বেশ সরব দেখা যায় তাকে। সেই মিশনে সফল না হলেও সন্তুষ্টই ছিলেন নায়িকা। এরপর ছেলের মা হয়ে তার লালন-পালনে ডুব দেন।
তবে পর্দার বাইরে থাকলেও এ অভিনেত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব। প্রায় সময়ই নিজের যেকোনো মতামত শেয়ার করেন তিনি। আর সে ধারাবাহিকতায় এবার টাঙ্গুয়ার হাওড়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে শনিবার রাতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়েছিলেন এ নায়িকা। আর তাতেই পড়েছেন সমালোচনার মুখে।
মাহি পোস্টে লেখেন, কোনোরকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই আমরা হঠাৎ টাঙ্গুয়ার হাওড় ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু হুট করে চাইলেই সেখানে বোট পাওয়া যায় না, ২০ তারিখের আগে কোনো বোট ফ্রি নাই, আমিও নাছোড়বান্দা, জামাইকে বলছি ১৭ তারিখে আমাকে নিয়ে যেতেই হবে। জামাই দিশা না পেয়ে ফোন করলেন সুনামগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা, কেন্দ্রীয় যুবনেতা ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাইকে। উনি অন্যজনের বুকিং ক্যানসেল করিয়ে তাদেরকে অন্য বোট দিয়ে ১৭ তারিখে আমাদের জন্য বোট রেডি করে দিলেন। বুঝতে পারলাম সুনামগঞ্জে তার বিশাল প্রভাব। ধন্যবাদ, ফজলে রাব্বী স্মরণ ভাই। আপনি ছাড়া এই ট্রিপ ক্যানসেল হয়ে যেত। ফারিশসহ আমরা ২২ জন দুই দিন এক রাত হাওড়ে অনেক আনন্দ করেছি। সমস্ত দায়িত্ব স্মরণ ভাই অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করেছেন।
এর পরেই ভক্ত-অনুরাগীদের রোষানলে পড়েছেন এ নায়িকা। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কাজটা মোটেও ঠিক করেননি তিনি। আব্দুলাহ আল রাইহান মন্তব্য করেছেন, ‘কি অদ্ভুত, ক্ষমতা দেখিয়ে অন্যজনের ট্রিপ ক্যানসেল করে দিলেন।’ আকাশ সরকার লিখেছেন, ‘এটা কি ঠিক হলো? অন্যের বুকিং ক্যানসেল করে, নিজে আনন্দ করবেন! অদ্ভুত এক পৈশাচিক চরিত্র আপনার।’
সাজিদ রশিদ নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘কতোটা জ্ঞানের অভাব থাকলে এমন স্ট্যাটাস দেয়। চামচামি তেলবাজি করে কীভাবে মানুষ চলতে পারে, আজব।’
সর্বশেষ খবর