বগুড়ায় এবারও পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় যমুনা চরে পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চরের পলি মাটিযুক্ত জমিতে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হবে এমনটাই আশা করছেন চরাঞ্চলের কৃষক। যমুনার বিস্তীর্ণ চর এলাকায় এখন দেখা মিলছে পেঁয়াজ ও মরিচের আবাদ।
কৃষকরা বলছেন, আগে চরাঞ্চলে পেঁয়াজের আবাদ কম হতো। কিন্তু এখন পেঁয়াজ ও মরিচের ভালো দাম পাওয়ায় বেড়ে গেছে চাষাবাদ।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবর রহমান জানান, বগুড়ায় বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৬০ থেকে ৬২ হাজার মেট্রিকটন। বগুড়া এবার উৎপাদিত হবে ৪০ থেকে ৪২ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ। চলতি মৌসুমে এবার বগুড়া জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫৪ মেট্রিকটন। এ পর্যন্ত জেলায় পেঁয়াজ রোপণ করা হয়েছে ৩ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে। চারা রোপণ চলমান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে। এর আগে জেলায় ৮০৫ হেক্টর জমি থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উত্তোলন করা হয়েছে।
জানা যায়, এবার পেঁয়াজের ভালো দাম পাওয়ায় চরাঞ্চলের কৃষকরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। অনুকূল আবহাওয়া এবং রোগবালাই কম থাকায় এবারে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চরের কৃষকরা। ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের গুণগতমান ভালো। তাই দাম বেশি পাওয়ার প্রত্যাশা চাষিদের।
চরে পেঁয়াজ চাষে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ মণ পেঁয়াজ হয়। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা লাভের হিসাব কষছেন কৃষকেরা। দেড় থেকে দুই মাস পরেই পেঁয়াজ ঘরে তুলবেন চাষীরা। স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় পেঁয়াজের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
সারিয়াকান্দি চরঘাগুয়া এলাকার কৃষক মইফুল ইসলাম জানান, আগে সারা বছর যমুনা নদীতে পানিপ্রবাহ থাকত। এখন শীত মৌসুমে নদীতে পানি থাকে না। বিশাল এলাকায় ধু-ধু চর পড়েছে। তীরবর্তী ভূমিহীন ও প্রান্তিক চাষিরা এ চরে চাষাবাদ করেন। সেখানে পেঁয়াজসহ নানা জাতের ফসল চাষ করেন তাঁরা।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মতলুবর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে এবার বগুড়া জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫৪ মেট্রিকটন। এ পর্যন্ত জেলায় পেঁয়াজ রোপণ করা হয়েছে ৩ হাজার ২৩৫ হেক্টর জমিতে। চারা রোপণ চলমান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলপ থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব হবে। জেলায় স্থানীয়ভাবে ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ পেঁয়াজের চাহিদা পুরুন হয়ে থাকে। বাকিটা আমদানির উপর নির্ভর করে।
সর্বশেষ খবর
কৃষি, অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর