আলুর বাম্পার ফলনের পরেই খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাট জেলার মাঠ ঘাট এখন বোরো ধানের চারায় ভরে উঠছে। বোরো ধানের চারা রোপনে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ২০২৩—২০২৪ রবি ফসল চাষ মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭শ ২৫ হেক্টর জমিতে এবার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা লাগানো সম্পন্ন হয়েছে। খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাটে বোরো চাষ সফল করতে জেলার কৃষকরা বোরো বীজ প্রস্তুত করেছেন কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে। জেলায় ৬৯ হাজার ৭শ ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৬২ হাজার ৯শ ৯০ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের রয়েছে ৬ হাজার ৭শ ৩৫ হেক্টর জমি। এতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৩ লাখ মে.টন।
উপজেলা ভিত্তিক বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলায় ১৬ হাজার ৮১৮ হেক্টর, পাঁচবিবিতে ১৯ হাজার ৯শ ৪৫ হেক্টর, আক্কেলপুরে ১০ হাজার শ৩৬ হেক্টর, ক্ষেতলালে ১০ হাজার ৫শ ১৬ হেক্টর এবং কালাই উপজেলায় ১২ হাজার ১শ ১০ হেক্টর জমিতে। বোরো চাষ সফল করতে ইতোমধ্যে জেলায় উফশী জাতের ৩ হাজার ৩শ ৫৮ দশমিক ৪ হেক্টর ও হাইব্রিড জাতের ৩শ ৯৮ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা তৈরি সম্পন্ন হয়েছে।
বিএডিসি (বীজ) কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের বীজ সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। স্থানীয় ব্যাংক বিশেষ করে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বোরো সহ অন্যান্য ফসল চাষের জন্য কৃষকের মাঝে কৃষি ঋণ বিতরণের ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা যায়। জেলায় বোরো চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ—পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।
সর্বশেষ খবর