![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
স্বামীর থেকে জমি লিখে নিয়ে ঘরের আসবাবপত্র রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে গিয়ে অবশেষে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী, হতাশায় শিক্ষিত যুবক বিচারের দাবিতে ধরর্ণা দিচ্ছেন বিভিন্ন স্থানে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও মেলেনি তার সুরাহা, অবশেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ২০ দিনেও বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য পুলিশ একবারও যাইনি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষিত যুবক আমিনুল ইসলামের।
এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত বক্তার প্রামাণিকের ছেলে আমিনুল ইসলামের সাথে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা আমিনুল ইসলাম ঢাকায় স্কয়ার কোম্পানিতে ভাল বেতনে চাকুরি করতেন। কোম্পানির নিজেম্ব গাড়িতে করতেন চলাফেরা, এরই মধ্যে নিজ এলাকার চরঝিকড়ী গ্রামের দেলোয়ার শেখের মেয়ে হাবাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত রাবেয়া খাতুনের সাথে প্রথমে মুঠোফোনে পরে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে ভালোবেসে ঘর বাধেন আমিনুল ইসলাম। উভয় পরিবারের অজানায় তারা রাজবাড়ীর আদালতে ২০১৮ সালে বিয়ে করেন এটা ছিল ২ জনেরই ২য় বিয়ে।
থানায় অভিযোগ ও তালাকের কপি
বিয়ের পর আমিনুল ঢাকায় চাকুরিরত খাকলেও মাঝে মধ্যেই শ্বশুর বাড়িতে আসা যাওয়া করত। আমিনূল ইসলাম বলেন- ওই বাড়িতে বিয়ে করার পর আমার পরিবার ও এলাকার মানুষ এমনকি আমার বন্ধুরাও আমাকে ঘৃণার চোখে দেখত, কেউ আমার সাথে কথা বলত না, ওই বাড়িতে আমি গেলে লোকজন মনে করত আমি চিড়িয়া খানার কোন যন্তুু, সকলেই দেখতে আসত আর আর চোখে ঘৃণাভরা চোখে তাকিয়ে থাকত আমি একা হয়ে পড়েছিলাম।
এদিকে আমার শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে চিকিৎসকের পরামর্শে চাকুরি ছেড়ে দিয়ে এলাকায় এক সাথে স্বামী- স্ত্রী থাকার জন্য বাড়িতে ভাইদের সাথে এক প্রকার যুদ্ধ করে একটি ঘর নির্মাণ করে সেখানে স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতে শরু করি। বিভিন্ন সময় আমার স্ত্রী আমার সাথে সংসার করবে না বলে তার বাবার বাড়ি চলে যেত যে কারণে একাধিকবার স্থানীয়দের সাথে সালিশ করে আমাকে নিয়ে আসতে হত।
এক প্রর্যায় আমাকে আমার বাড়ি থেকে জমি লিখে দেওয়ার বিষয়ে চাপ দেয়, জমি লিখে না দিলে সে আসবে না, পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে আমি ২ শতাংশ জমি লিখে দেই। ওই জমি রেজিঃ করার সময় কৌশলে রাবেয়া ২ শতাংশ জমির সাথে আমার করা একটা ঘরের কথা উল্লেখ্য করে জমি রেজিঃ করা হয়। আমি ভেবেছিলাম জমি দিলে সে আমার সাথে ঘর সংসার করবে, কিন্তু না জমি দেওয়ার পরের দিনই সে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়, পুনরায় সালিশ করে নিয়ে আসতে হয়।
পরবর্তীতে কৌশলে বাসার প্রায় সব আসবাবপত্র নিতে থাকে, একদিন রাতে সকল কিছু নিয়ে যার আনুমানিক মূল্য ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, এমনকি আমার একটি মাটির ব্যাংক ছিল সেটা পর্যন্ত ভেঙ্গে যা ছিল নিয়ে চলে যায় আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে সে আমার কথা শুনেনি, তার কিছুদিন পর আমাকে চলতি বছরের ২৩ ফ্রেরুয়ারী হাবাসপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিঃ এর কাজ থেকে আমাকে একটি তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছে, আমার স্ত্রী থাকা কালে চরপাড়া মোড় ও পাংশা বাজারের বেশ কিছু দোকান থেকে বাকি নিয়েছে এখন তারাও আমাকে ধরছে।
আমার বাসা থেকে সব চুরি করে নিয়ে আসার পর আমি নিজে পাংশা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম আজ পর্যন্ত তার তদন্ত হয়নি, আমি আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর নিকট বিষয়টি বলেছি সে এ বিষয়ে কিছুই করতে পারবে না বলে জানান। আমি নিরুপায় আমি এখন কি করব বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে রাবেয়া খাতুন’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন- আমাকে মারধর করত আর শুধু টাকা চাইত, টাকা দিলে আমি ভাল আর না দিলেই আমার উপর অত্যাচার শুরু করে। আমার মেয়েকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে এ কারণে আমি তাকে ছেড়ে দিয়েছি। আর আমি নিজের টাকা দিয়ে ওর কাজ থেকে জমি কিনে ঘর করেছি, আমার টাকা দিয়ে সে ঔষুধের দোকান করেছে আমার টাকায় মটর সাইকেল কিনেছে, এখন ও চাইলে আমার নিকট থেকে জমি কিনে নিতে পারে বাজার মূল্য দিলে আমি তাকেই দিব।
এ ব্যাপারে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা বলেন এ বিষয়ে অনেক বার বসাবসি হয়েছে, ওই পরিবারের বিষয় নিয়ে আমরা আর কথা বলতে চাই না, ওদের নিয়ে সমাজে বেশ কিছু কথা প্রচলন আছে যা বলার মত না। স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা ওই মেয়ের বাড়িতে স্ট্রোক করে মারা গিয়েছিল প্রায় ১০ বছর আগে এ নিয়েও ওই এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর