পূর্ব ঘোষিত দুইদিনের ক্লাস বর্জনের পর প্রথমদিনের মতো ক্লাস বর্জন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তেমন আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়নি। 

বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। 

জানা যায়, শিক্ষকদের উপর হামলার বিচার না করা, পদোন্নতি না দেওয়া, গেস্ট হাউজ উন্মুক্ত না করা ও  পদোন্নতির বৈষম্যের সমাধান না করা সহ ৭ দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। 

ক্লাস বর্জনের বিষয়ে গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমান মাহবুব বলেন, শিক্ষক সমিতি যে দাবিগুলো উত্থাপন করছে তার সমর্থনে আমরা ক্লাস বর্জন করেছি। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ক্ষতি হচ্ছে, তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই শিক্ষার্থীদের ক্ষতি করছে। শিক্ষক সমিতি অনেক বার সময় বেধে দিয়েছে, চিঠি দিয়েছে কিন্তু তারা কোন কিছুই পাত্তা দেয় নাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষকদের বাধ্য করছে ক্লাস বর্জন করতে। তবে আমাদের দাবিগুলো মেনে নিলে আমরা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। 

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দিন বলেন, শিক্ষক সমিতি থেকে যে আবেদন গুলো উত্থাপন করা হয়েছে এগুলো কোনোটাই ব্যক্তিকেন্দ্রিক না, এটা সামষ্টিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে থেকে ডিসাইডেড যে-সব নিয়মকানুন আছে, সেগুলোর ব্যত্যয় ঘটিয়ে একেক জনের জন্য একেক রকম নিয়মকানুন করা হচ্ছে, এসব বিষয়ের ক্লারিফিকেশন আমরা চাই। ব্যাপারটা এমন নয় যে, আমরা গতকাল ঘোষণা দিয়ে আজকেই অ্যাকশানে যাচ্ছি। আমাদের দাবিগুলো প্রায় একমাস ধরে আমলে নেয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন সময়ে যে-সব সেশনজট তৈরি হয়েছিল, ছাত্ররা আর শিক্ষকরা মিলেই আমরা তা কাভার করেছিলাম। এখন দুইদিন আমরা ক্লাস বন্ধ রেখেছি, কারণ আমরা চাই প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো আমলে নিক। শিক্ষক সমিতির সদস্যদের সাথে কথা বলুক এবং সঠিকভাবে এর ব্যাখ্যা দিক। যে দুইদিন আমরা ক্লাস বন্ধ রেখেছি তা আমরা এক্সট্রা ক্লাস বা অনলাইন ক্লাস নিয়ে শিক্ষক আর ছাত্ররা মিলে কভার করব। কিন্তু প্রশাসন কেন আমাদের ব্যাপারগুলো আমলে নিবে না? আশাকরি প্রশাসন দ্রুত এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিবে।