![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
রাজবাড়ীর পাংশায় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০) নামের এক যুবককে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা বাজারের মস্তফা ও মিন্টু মৃধার দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত আবু বক্কর সিদ্দিক পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা খামারপাড়া গ্রামের আনসার আলী প্রামাণিকের ছেলে।
উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম পিন্টুর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন, আহত আবু বক্কর সিদ্দিক। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন, ইউপি সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম পিন্টু।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মাছপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম পিল্টুর নেতৃত্বে ইউনিয়নের মেঘনা খামারপাড়া গ্রামের মফিজ মৃধার ছেলে কল্লোল মৃধা, আজিজ প্রামাণিকের ছেলে সুরুজ প্রামানিক অরফে ওকে, আলিম শেখের ছেলে জাহিদুল ইসলাম সহ ১০-১২ জন লোহার রড, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
কেন হামলা করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার চাচাতো ভাই মোহাসিন উদ্দিন পিন্টু মেম্বারের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তখন পিন্টুর নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। সে ঘটনায় আমরা একটি মামলা করি। পরে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সে মামলার নিষ্পত্তি হয়। সেই টাকা দেওয়ার পর থেকে পিল্টু মেম্বার টাকা ফেরত চেয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেয়।
তিনি আরোও বলেন, আমি বিএনপি করি বিধায় গত ৮ তারিখে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে ঢাকা চলে যাই। নির্বাচনের পর দিন দুপুরে বাড়ি আসি। বিকালে বাজারে গেলে সন্ধ্যায় পিন্টুর নেতৃত্বে তারা আমার উপর হামলা করে।
মেঘনা বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা জানান, আমার দোকানের সামনে বক্করকে মারপিট করা হয়েছে। আমি তখন দোকানের ভিতরে ছিলাম। আমি দোকান থেকে বেরিয়ে আসার আগেই সবাই পালিয়ে গেছে। কে বা করা মেরেছে আমি কাউকে দেখতে পাইনি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম পিন্টু বলেন, মারামারির সময় আমি বাজারে ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. সোজা উদ্দিন সোহাগ জানান, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তিনি আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। নাক,মুখ সহ তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে হাসপাতালে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে আহতের খোঁজ খবর নিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, এটা পূর্ব শ্রোতার জের ধরে মারধর করা হয়েছে এটা নির্বাচনী কোন ইস্যু।
জানা যায়, আহত আবু বক্কর সিদ্দিক স্থানীয় সোনালী সার্বিক উন্নয়ন সমবায় সমিতি নামের একটি সমিতি পরিচালনা করেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর