![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
ধর্ষণ চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা না নিয়ে উলটো ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ তুলে মোংলা থানার ওসির অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগী মোংলা উপজেলাবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় ভুক্তভোগী ফাতেমা আক্তার, নাসিমা বেগমসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ন্যায় বিচারের জন্য মানুষ পুলিশের কাছে যায়। কিন্তু ধর্ষণ চেষ্টা, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা না নিয়ে মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম দুর্বৃত্তদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
গত ০৯ মার্চ বাড়িতে কেউ না থাকায় পার্শ্ববর্তী মো. জলিল মাতুব্বর (৪৫) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে আমার শরীরের গোপন স্থানে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় জলিল মাতুব্বর। ঘটনার আধা ঘণ্টা পরেই জলিল মাতুব্বরের ছেলে আমির মাতুব্বরসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী দলবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে বেআইনি ভাবে প্রবেশ করে। তারা ঘরের চালসহ ঘরের ভিতরের মালামাল ভাঙচুর করে, আমির মাতুব্বর ও তার লোকজন। তারা আমাকে হত্যা করবার উদ্দেশে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে মোংলা থানার এসএই রমজানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আমাকে উদ্ধার করে। পুলিশ ও স্থানীয়রা আমাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মোংলা ২৫০ বেড শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সেদিনই ধর্ষণ চেষ্টা ও হামলার মামলা নিয়ে মোংলা থানায় যায় আমার পরিবারের সদস্যরা। তবে মামলা না নিয়ে থানা থেকে বের করে দেন মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম। পরে একাধিকবার মামলার জন্য মোংলা থানায় গেলেও ওসি বিষয়টি আমলে নেয়নি। এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মহোদয়ের শরণাপন্ন হই। ইহাতে মোংলা থানার ওসি ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকে বলে তুই কত মামলা খেতে পারিস আমি ডোজে ডোজে তোকে দিব। পরে ৩১ মার্চ খুলনা সিটি মেয়রের লিখিত সুপারিশ নিয়ে গেলে অভিযোগ রাখে পুলিশ। তার পরে দেড় মাস অতিক্রম হলেও মামলাটি নথিভুক্ত করেনি পুলিশ।
এখন আমাদের মামলা না নিয়ে মোংলা থানার ওসি আজিজুল ইসলামের হস্তক্ষেপে আমি ও আমার স্বামী মিজানুর রহমান, বোন পারভিন বেগম, ভগ্নিপতি কাওসার আকন, খালাতো ভাই শিমুল ও পারভেজকে জড়িত আদালতে মানব পাচারসহ ৪টি মিথ্যা দায়ের করেন। আমরা বাড়িতে যেতে পারি না অত্যন্ত অসহায় জীবন যাপন করছি।
এই ওসি আজিজের অত্যাচার ও মামলার ভয়ে ২১টি পরিবার বাড়িতে ঠিক ভাবে বসবাস করতে পারছেনা। সে যদি আমাদের মংলায় থাকে তাহলে আমাদের ২১টি পরিবার মাটির সাথে মিশে যাবে। তারা মোংলা থানার ওসি কেএম আজিুল ইসলামের দ্রুত অপসারণ দাবি করেন।
এ ছাড়া মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলান নানা অনিয়ম, দুর্নীতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর