ভোট শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রতিদ্বন্দিতা। যখন একটি পদের জন্য দুই বা ততদিক ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দিতা করে তাকেই নির্বাচন বলে নির্বাচন সম্পন্ন হতে ভোটের প্রয়োজন হয়। ভোটাভুটি'র মাধ্যমে যে ব্যক্তি উঠে আসে তাকে বলা হয় ইলেকশন অপরদিকে ভোটাভুটি ছাড়াই যে নির্বাচন সম্পন্ন হয় তাকে বলা হয় সিলেকশন। বর্তমানে ফেনী স্টাইলে ইলেকশন নেই, সিলেকশন আছে।
ভোট প্রদান করতে কেন্দ্রে যাওয়া কিংবা ব্যক্তি নির্বাচনের প্রতি এখন সাধারণ মানুষের নেই কোন আকর্ষণ। কারণ নির্বাচনের নামে ভোট হলেও বাস্তবিকভাবে এখানে কোন ভোট হয় না। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দিয়ে সিল মেরে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা তিনটি উপজেলায় দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত তিনজন প্রার্থী। অপর দিকে তাদের বিপরীতে ও অনেক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও মাঠে-ঘাটে কিংবা প্রচার প্রচারণায় কোথাও তাদের দেখা যায়নি।
২৯ শে মে অনুষ্ঠাতব্য নির্বাচনে ফেনীর অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে মানুষের দেখা না মিললেও বাক্স ভরাট হতে দেরি হয় নি। কাজিরবাগ'র রুহিতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ ঘণ্টায় ভোট পড়ছে ১০ টি। এখানে সকাল ৮ টা হতে ৯,০৫ পর্যন্ত ১০ ভোট পড়লেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাক্স ভরাট হয়ে যায়। মোট ভোটারে এক চতুর্থাংশ ও ভোট প্রদানে আসেন নি। মালিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০.৩০ মিনিটেও ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারে নগণ্য।হাজারো ভোটার থাকলেও এখানে ভোট পড়ে মাত্র ২২ টি।
ধর্মপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন শাকার কেন্দ্র মঠবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১১টায় ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র ৭ জন।সাংবাদিক যাওয়ার খবরেই লাইন বেড়ে বড় হয়।দলীয় কর্মী, এজেন্ট, ভাড়াটে মহিলাদের দাঁড় করিয়েও পর্যাপ্ত লাইন বা ভোটার না হওয়ায় দলীয় কর্মীরা সিল মারতে শুরু করেন। এছাড়াও
ফতেহপুর উচ্চ বিদ্যালয়,ফাজিলপুরের একাধিক কেন্দ্র, উত্তর বারাহিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ একাধিক কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি শূন্য থাকলেও ৫০% ভোট দেখানো হয়। গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক প্রার্থীর এজেন্ট ও যুবমহিলা লীগের নেত্রী সাজেদা আক্তার সাজু নিজেই ২০০ ভোটার সাক্ষর টিপসই নিজে অনৈতিক ভাবে প্রদান করেন।
এ বিষয়ে ফতেহপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র প্রধান মো. বশির সাংবাদিকদের বলেন, ভোটাররা বিক্ষিপ্ত ভাবে আসে।তবে আমরা ভোটে শতভাগ বিজয়ী হবো।'
ব্যালটে সিল মারা প্রসঙ্গে সাজেদা আক্তার সাজু বলেন, আমি আমার ভোট দিচি।আপনার ভোট কতটি জবাবে তিনি উঠে চলে যান।’
গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র প্রধান এ বিষয়ে বলেন, ভুলে করেছে বিষয় টি বাদ দেন!
উত্তর বারাহীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র প্রধান তৌহিদ রেজা নুর বলেন'দুপুরে মহিলারা খাবার বানাতে গেছে। রান্না করে আবার ভোট দিবে' একজনে কয়েকটি ভোট কয়েকবার দিতে পারে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর