ঘর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব লন্ডভন্ড সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর মৃতদেহের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দরবনের অভ্যন্তরসহ বিভিন্ন নদ-নদী ও চর থেকে ১৩৪টি বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বনরক্ষীরা। উদ্ধার করা মৃত এসব বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে ১৩০টি হরিণ ও ৪টি বন্য শূকর।
সুন্দরবনে একটানা ৩৬ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে চলা এই ঘর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মারা যাওয়া এসব বন্যপ্রাণীর উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে বরক্ষীরা। যে কারণে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বন্যপ্রাণীর মৃতদেহের সংখ্যা। উদ্ধার করা এসব বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ ম্যানগ্রোভ এই বনের মধ্যে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো জানান, সুন্দরবনে ৩৬ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এসময় ৬ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয় সুন্দরবন। দীর্ঘসময় ধরে সুন্দরবনর জলমগ্ন থাকায় বন্যপ্রাণীর হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে বন্যপ্রাণী মৃত্যু বেশি ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার পর গত পাঁচদিনে সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, দুবলা, ডিমেরচর, পক্ষীরচর, শেলারচর, নীলকমল, নারিকেলবাড়িয়া ও জ্ঞানপাড়াসহ বনের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ১৩০টি হরিণ ও ৪টি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আহতাবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১৮টি হরিণ ও একটি অজগর সাপ। এই ১৮টি হরিণ ও অজগর সাপটিকে চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত করেছে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে মৃত বন্যপ্রাণীর সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে অনেক বন্যপ্রাণী ভেসে গেছে। মাছ আহরণে বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় সাগরে ভেসে মারা পড়া ও গহিন অরণ্যে মরে পড়ে থাকায় সব বন্যপ্রাণীর মৃতদেহ কখনোই উদ্ধার সম্ভব হবেনা। সেকারণে মৃত্য বন্যপ্রাণীর সঠিক হিসাব পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর