চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে অপ্রদর্শিত জমি, স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেস এলাকাভেদে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে বৈধ ঘোষণা দেওয়া যাবে। একেক এলাকার জন্য বর্গমিটার অনুসারে নির্দিষ্ট কর দিয়ে এসব সম্পদ বৈধ করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) উৎথাপিত অর্থবিল থেকে কোন অঞ্চলের উল্লিখিত অপ্রদর্শিত সম্পদ কত হারে কর দিয়ে তা প্রদর্শন করা যাবে তা জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা জেলার গুলশান থানা, বনানী, মতিঝিল, তেজগাঁও, ধানমন্ডি, ওয়ারী, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, শাহবাগ, রমনা, পল্টন, কাফরুল, নিউমার্কেট ও কলাবাগান থানার অন্তর্গত সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ছয় হাজার টাকা এবং ভূমির করহার নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গমিটারে ১৫ হাজার টাকা।
এ ছাড়া ঢাকা জেলার বংশাল থানা, মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা মডেল, ক্যান্টনমেন্ট, চকবাজার, কোতোয়ালি, লালবাগ, খিলগাঁও, শ্যামপুর, শাহজাহানপুর, মিরপুর মডেল, দারুস সালাম, দক্ষিণখান, উত্তরখান, তুরাগ, শাহ আলী, সবুজবাগ, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, হাজারীবাগ, ডেমরা, আদাবর, গেন্ডারিয়া, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, মুগদা, রূপনগর, ভাষানটেক, বাড্ডা, পল্লবী ও ভাটারা থানা; চট্টগ্রাম জেলার খুলশী থানা, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও কোতোয়ালি থানা; নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানা, সোনারগাঁ, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও বন্দর থানা এবং গাজীপুর জেলার সদর থানার অন্তর্গত সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং ভূমির করহার ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার ও ধামরাই উপজেলা; চট্টগ্রাম জেলার আকবর শাহ থানা, ইপিজেড, কর্ণফুলী, চকবাজার, চান্দগাঁও, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, বন্দর, বাকলিয়া, বায়েজিদ বোস্তামি ও সদরঘাট থানা; গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানা, কালীগঞ্জ, বাসন, কোনাবাড়ী, গাছা, টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা ও আড়াইহাজার উপজেলার অন্তর্গত সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ভূমির করহার প্রতি বর্গমিটারে তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থবিলে বলা হয়েছে, ক্রমিক নম্বর ১ থেকে ৩–এর অন্তর্ভুক্ত নয়, কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন ব্যতীত অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও অন্য কোনো উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জেলা সদরে অবস্থিত সব পৌরসভার অন্তর্গত সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে এক হাজার টাকা ও ভূমির করহার প্রতি বর্গমিটারে দুই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থবিলে আরও বলা হয়েছে, ক্রমিক নম্বর ১ থেকে ৪–এর অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন অন্য যেকোনো এলাকার সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৮৫০ টাকা ও ভূমির করহার প্রতি বর্গমিটারে এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থবিলে উল্লেখ করা হয়েছে, ক্রমিক নম্বর ১ থেকে ৫-এর অন্তর্ভুক্ত নয়, এমন অন্য যেকোনো এলাকার সব মৌজার স্থাপনা, বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট অথবা ফ্লোর স্পেসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে ৫০০ টাকা ও ভূমির করহার প্রতি বর্গমিটারে ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
কৃষি, অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর