প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ জানিয়ে ২য় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে এক হাজারের অধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। মিছিলটি কলাভবন, মলচত্বর, ভিসি চত্বর, টিএসসি হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনারে গিয়ে একটি সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা প্রথা কখনোই এই জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে না। কোটা প্রথার মাধ্যমে মূলত এই দেশের মেধাবীদের সাথে এক ধরনের উপহাস করা হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ বেকারের দেশে অযোগ্যদের অগ্রাধিকার দেয়াড় মাধ্যমে আরও বেকার বৃদ্ধির একটি কৌশল তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ এমন সিদ্ধান্ত কখনোই মেনে নেবে না। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে আইনি এবং রাজপথ, উভয় লড়াই-ই চালিয়ে যাবে।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৮ সালের রাবার বুলেটের ক্ষত এখনো শুকায় নাই। ২০১৮ সালে কার্জন হলে টিয়ারশেল খেয়েছিলাম, সেই জ্বলন এখনো শুকায় নাই। আমাদের ক্যাম্পাসে, ২০১৮ সালে পুলিশ যেভাবে আমাদের নির্যাতন করেছে সেই ভয়াল অভিজ্ঞতা এখনো ভুলি নাই। ২০১৮ সালে কোটা বাতিল, সেটা ছিল সারা বাংলার ছাত্র সমাজের গণজোয়ারের ফলাফল। হাসনাত বলেন, স্বাধীনতা, সাম্যের যে স্পিরিট ছিল, সেই স্পিরিটের বাইরে গিয়ে গুটিকয়েক শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করে কোটার পুনর্বহাল সারা বাংলার শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। কোটা পুনর্বহাল বাতিল করার জন্য আমাদেরকে আবার রাস্তার মধ্যে নামতে হবে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যে জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, সেটা ছিল বৈষম্য নিরূপণ। অত্যন্ত দুঃখজনক, যারা কোটার জন্যে আন্দোলন করছে তারা নিজদেরকে কোটাধারী মেধাবী দাবি করছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব ইসলাম বলেন, প্রথমবারের কোটা আন্দোলন করতে গিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী রাজপথে রক্ত দিয়েছে। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম সহ সারাদেশের রাজপথে শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েছে। অধিকার প্রতিষ্ঠা লয় প্রয়োজনে তারা আবার রক্ত দেবে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কোটা প্রথা কোটা প্রথা-মানি না মানব না’, ‘কোটা প্রথা বাতিল করো-করতে হবে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়-বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, সহ কোটা পুনর্বহালের বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর