অপহরণের পর জিম্মি করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের অভিযোগ, পরে তা প্রত্যাহার। এ ঘটনার নেপথ্যের কারণ নিয়ে মানুষের মনে নানা কৌতূহল জেগেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর ২ টার দিকে বাহাগিলী ইউপির উত্তর দুরাকুটি সরকারপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের পুত্র বাধন (১৫) তার দুজন বন্ধুকে নিয়ে বাসা খোঁজার জন্য কিশোরগঞ্জ শহরে আসে। কাজ শেষে পরে তারা কিশোরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে ঘুরতে যায়। ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে আজাদ হোসেন আওলাদ (২৬), বাবু (৩০), শেখ সাদী (২৪), আকাশ (২৩) ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাইনুল আরেফিন শপু (৩৬) কেউ সাংবাদিক, কেউ পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে ওই ৫ জন ব্যক্তি তাদের মটর সাইকেল ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে গদা গ্রামের একটি ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে কথিত সাংবাদিক ও পুলিশ লিখন, বাধন ও লাজুকে বল পয়েন্ট কলম দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জখম করে এবং তাদের পরিবারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে মধ্যযুগীয় কায়দায় আবারো বর্বর নির্যাতন করা হয়। ঘটনার শোরগোলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য ভুক্তভোগীদের থাই গেম খেলার অভিযোগ তুলে থানায় দেয়াড় হুমকি দেয়। এসময় বাবু নামের অপহরণকারী মোটর সাইকেলসহ বাধনকে বাংলাবাজারের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। লিখন ও শামীম হোসেন লাজুকে অপর দুজন অপহরণকারী চেংমারী ব্রিজের কাছে নিয়ে গিয়ে আটক করে রাখে।
এ ঘটনায় অপহরণের স্বীকার বাঁধনের দাদা মোকছেদুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন রানা থানায় হাজির হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ৪ জুন একটি এজাহার দায়ের করেছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন রানার সাথে কথা হলে তিনি জানান- অভিযোগ দায়েরের পর এজাহারটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ দিয়ে তা কেন প্রত্যাহার করে নেয়া হল জানতে চাইলে তিনি এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র মণ্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান- এজাহার দিয়েছিল এবং বাদী তা প্রত্যাহারও করে নিয়েছে। কি কারণে বাদী প্রত্যাহার করেছে তা আমার জানা নেই।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর