২০২৪-২৫ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা (আইটিইএস) খাতের অব্যাহতি প্রাপ্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ডোমেইন ও ক্লাউড হোস্টিং খাতটি। কর অব্যাহতি না পাওয়ায় ডোমেইন হোস্টিং পরিচালনার খরচ বাড়বে। ফলে ডোমেইন হোস্টিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া আরো চ্যালেঞ্জিং হবে।
এ সমস্যা সমাধানে ডোমেইন হোস্টিং সেবা পরিচালনায় কর অব্যাহতির চেয়েছনে এ খাতের ব্যবসায়ীরা। গতকাল রাতে রাজধানীর বনানীতে আয়োজিত এক বৈঠকে সরকারের প্রতি এ দাবি জানান ডোমেইন হোস্টিং ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জনান, দেশের ওয়েবসাইট হোস্টিং ও ক্লাউড হোস্টিং বাজারের ৯০ শতাংশই বিদেশি প্রতিষ্ঠান গুলোর দখলে রয়েছে। দেশীয় উদ্যোক্তারা চেষ্টা করছে দেশের ডোমেইন হোস্টিং প্রতিষ্ঠান গুলোকে এই খাতে প্রতিষ্ঠিত করে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে। কর অব্যাহতি না পেলে প্রতিযোগিতামূলক ডোমেইন হোস্টিং এর বিশ্ববাজারে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে টিকে থাকাই মুশকিল হবে।
বৈঠকে ডোমেইন হোস্টিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা, শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, আইটি ও আইটিইএস খাতের কর অব্যাহতির আওতায় ডোমেইন ও ক্লাউড হোস্টিং সেবাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু নতুন করে তিন বছরের যে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে এই খাতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বাংলাদেশের ডোমেইন ও ক্লাউড হোস্টিং খাতের আকার খুব বেশি বড় নয়। দেশের অধিকাশং ওয়েব সাইটই বিদেশী কোম্পানী গুলোতে হোস্ট করা।
ই-কমার্স ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের অন্যতম উপাদান ডোমেইন ও হোস্টিং। বর্তমানে বেশির ভাগ সফটওয়্যারই অনলাইননির্ভর, যেগুলো ক্লাউড বা হোস্টিং সার্ভারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এখন ক্লাউড হোস্টিং বা ডোমেইন হোস্টিংকে করের আওতাভুক্ত করা হলে এ খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এই খাতের দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনায় চ্যালেঞ্জ তৈরি হলে এই খাটটি আশানুরূপভাবে বিকশিত হবে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর