নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে সেই সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হল। এখনও আহত দুই জন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্ৰেফতার করেছে।
মৃত্যু প্রাণকৃষ্ণ কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মুশা হিন্দু পাড়া গ্ৰামের রজনী কান্ত রায়ের পুত্র। সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা যান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকালে সুফলা দেবী ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করছিল। প্রতিপক্ষরা তা দেখে জমি চাষে বাঁধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মাঝে তর্ক বাঁধে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে প্রতিপক্ষের আঘাতে সুফলা দেবী (৬৫) গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুফলা দেবীর ওই দিনেই মৃত্যু হয়। তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।
সংঘর্ষে আহত আরও তিনজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সংঘর্ষে মারা যাওয়া সুফলা দেবীর পুত্র প্রাণকৃষ্ণ (২৪) শুক্রবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় মায়ের পর ছেলের মৃত্যু হল। আহত আরও ২ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সংঘর্ষে মারা যাওয়া সুফলা দেবীর পুত্র সুবল চন্দ্র বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা করে। ওই রাতে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র মন্ডল ও এস আই নূর ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্ৰেফতার করে।
গ্ৰেফতারকৃতরা হল কিশোরগঞ্জ উপজেলার মুশা হিন্দু পাড়া গ্ৰামের কেফার চন্দ্রের পুত্র উজ্জ্বল (১৯), বিন্নাকুড়ি রুপচান পাড়া গ্ৰামের মৃত ললিত চন্দ্র রায়ের স্ত্রী নির্মলা (৬১) ও বড়ডুমরিয়া কামারপাড়া গ্ৰামের সুরজিত চন্দ্র ওরফে কাল্টুর স্ত্রী অনিতা (৩৪)।
অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রথমে মা ও পরে ছেলের মৃত্যুতে শোকে কাতর হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
কিশোরগঞ্জ থানার এস আই নুর ইসলাম সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল জানান- মামলা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্ৰেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
সর্বশেষ খবর