
ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর আর এস ফাহিম চৌধুরীর ভ্লগের জন্য ভিডিও ধারণের সময় ব্রিজের প্রবেশমুখের লোহার পাইপে মাথায় আঘাত লেগে মারা যান তার দলের সদস্য রবিউল আজিম তনু।
শনিবার ভোরে সিরাজগঞ্জ শহরের ইলিয়ট ব্রিজে দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় আজিমের। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন আর এস ফাহিম চৌধুরী।
স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো- শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আজিম দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গিয়েছে। কীভাবে বর্ণনা করবো কিছুই বুঝতে পারতেছি না। বারবার মনে হচ্ছে সবকিছু কেমন যেন একটি দুঃস্বপ্নের মতো। কিন্তু কীভাবে নিজেকে বোঝাবো যে ভাইটি আর নেই। চোখের সামনে সব দেখেছি, যা কোনোদিনও বোঝাতে পারবো না।
আমরা ঠিক ফজরের আজানের সময় সিরাজগঞ্জ কড্ডার মোড়ে পৌঁছাই, সেখান থেকে হালকা কিছু খাবার খাই সবাই মিলে। এরপর আমরা ক্রস বাঁধ-৩ এ যাই সেখানে আজিম তার মতো করে শুট নিতে ব্যস্ত ছিল ভ্লগ এর জন্য তারপর কিছু সময় কাটাই সেখানে। এরপর আমরা রওনা হই হোটেলে যাওয়ার উদ্দেশে। যাওয়ার পথে সে সামনের একটি গাড়িতে উঠে সানরুফ দিয়ে বের হয়ে শুট নিচ্ছিল। এর মধ্যে এসএস রোড দিয়ে বড়পোল পার হওয়ার সময় উপরে থাকা লোহার যে বারটি রয়েছে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে মাথায় এবং বুকে সজোরে আঘাত হানে। উল্টো হয়ে ফিরে থাকার কারণে সেও বুঝতে পারেনি।
যার কারণে আঘাতটা সরাসরি তার মাথার পেছন দিকে লাগে। মাথার পিছে আঘাত লাগার ফলে তৎক্ষণাৎ সে সেখানে গাড়ির ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে। তৎক্ষণাৎ ২-৩ মিনিটের মধ্যে আমরা সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল পৌঁছাই। সেখানে নেয়ার আগেই আমাদের ভাই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করেছে। তার জন্য কিছু করার সুযোগটাও পাই নাই। চোখের পলকে সব শেষ হয়ে গেল। চিরদিন দায়ী থেকে যাবো। ২ মাস আগে ও বাবা হারা হয়েছে। এই ছেলেটির চলে যাওয়া তার মাকে জানানোর মতো কষ্ট কখবো বোঝাতে পারবো না।
দূর থেকে অনেকে অনেক মতামতই করবে কিন্তু সব নিজ চোখের সামনে হয়েছে। ১০০০ কথা লিখেও কাউকে বুঝাতে পারব না। আমরা সকাল থেকে হাসপাতাল এবং প্রশাসনিক সব কার্যক্রম শেষ করে লাশ নিয়ে এখন সাতক্ষীরার পথে। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন এবং ওর আত্মার মাগফেরাত কামনা করবেন।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর