পাবনার ঈশ্বরদীতে জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালে জিমু খাতুন (১৮) নামে এক প্রসূতিকে ঝাড়ুদার দিয়ে প্রসব করানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই প্রসূতির নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (০৭ জুন) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। প্রসূতি জিমু নাটোরের লালপুর উপজেলার মাঝগ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
প্রসূতির স্বামী সাইদুর রহমান জানান, আমার গর্ভবতী স্ত্রীকে গত ৬ জুন জমজম হাসপাতালে এনে ডা. নাফিসা কবীরকে দেখানো হয়। তিনি ইসিজি,আলট্রাসনোগ্রামসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে জানান সব স্বাভাবিক আছে। ৭ জুন জিমুর প্রসব বেদনা শুরু হলে রাত ১টায় জমজম হাসপাতালে ভর্তি করি। ডা. নাফিসা আবারও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন এবং বলেন সব স্বাভাবিক আছে ২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক ডেলিভারির সম্ভাবনা আছে।
সাইদুর রহমান আরো জানান, এরপর ওই চিকিৎসক বাসায় চলে যান। রাত ৩টার দিকে প্রসূতির তীব্র ব্যথা শুরু হলে তাকে ডেলিভারির জন্য ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ডা. নাফিসা হাসপাতালে ছিলেন না। নার্স ও ঝাড়ুদাররা ডেলীভারী করান। কিছুক্ষণ পর আমাকে বলা হয় মৃত সন্তান হয়েছে। এরপর ডা. নাফিসা কবীর হাসপাতালে এসে একই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, প্রসূতির অবস্থা আশংকাজনক। পরে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
এ ঘটনায় সাইদুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার সকালে ডা. নাফিসা কবির, ঝাড়ুদার ও আয়া পারুল, সাথি ও রাসেলের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় হাসপাতালটির মালিক ডা. নাফিসা কবীরের মুঠোফোনে। তিনি দম্ভোক্তি করে বলেন, 'পুলিশ প্রশাসনের কাছে বক্তব্য দিয়েছি এ ব্যাপারে আর কারো সাথে কোনো কথা বলতে চাই না।'
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, 'প্রসূতির স্বামীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর