বারিধারার ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের পাশে গুলির ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওছার আলী মোট ৩৮ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন বলে জানিয়েছেন গুলশান বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম।
রোববার দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে এই খবর নিশ্চিত করেন তিনি।
রিফাত জানান, কনস্টেবল কাওছারের অস্ত্রের একটি ম্যাগজিনে মোট ৩০ রাউন্ড গুলি ছিল। সবগুলোই ফায়ার করেছেন। পরে আরেক ম্যাগজিনের ৮ রাউন্ড গুলি ফায়ার করেন।
রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ছিল অভিযুক্ত কাওছারের কাছে। অস্ত্রটি ব্রাজিলের তৈরি। কাওছার মোট ৩৮ রাউন্ড গুলি ফায়ার করেছেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল কাওছার আলী গুলি করেন আরেক পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মনিরুল। আহত হন জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখ।
শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঘটা এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই সড়কে যান চলাচল। প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় কনস্টেবল কাওছারকে নিরস্ত্র করা হয়। ছুটে আসেন পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, গোয়েন্দা শাখাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাস্থলে তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণসহ সবকিছু শুনে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তদন্তের আগে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর