ফেনী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের স্টেশন এলাকায় রাশিদা আলম চৌধুরি প্রকাশ মোটা সেফালী নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে লুটপাট, জবরদখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত ৪ জুন ২০২৪ তারিখে রাশিদা আলম চৌধুরি প্রকাশ মোটা সেফালীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে জবরদখল ও অর্থ আত্মসাতের অভিযুক্ত মহিলার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ফেনী সিটি মেয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেড, ছাগলনাইয়া আমলী আদালতে আবেদন করেন ভুক্তভোগী ইয়াসিন আরাফাত মজুমদার।
ভুক্তভোগীরা জানায়, রাশিদা আলম চৌধুরি প্রকাশ মোটা শেফালি ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম থেকে ফেনীতে আসেন। সে সর্বপ্রথম তাহার বড় ভাই মনসুর চৌধুরি স্টেশন রোডস্থ একটি বাড়ি সন্ত্রাসীদেরকে দিয়ে জবরদখল করেন। সেই বাড়ির পূর্বদিকে জনসাধারণের চলাচলের একটি রাস্তা আছে। ঐ রাস্তা দিয়ে প্রায় চল্লিশটি পরিবারের লোকজন যাতায়াত করে। মোটা শেফালি উক্ত রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ফেলে চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। এ রাস্তা দিয়ে কেউ চলাচল করলে সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক দিয়ে গালমন্দ করে।
এই বিষয়ে ফেনী পৌরসভার মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অভিযোগ করেও কোন সমাধান পায়নি বলে জানান ভুক্তভোগীরা। পরে আরেক ভুক্তভোগী আলাউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে ফেনীর আদালতে এ বিষয়ে মামলা দাখিল করেন। আরেক ভুক্তভোগী হারুন বাড়ি নরসিংদী তিনি জানান, গত কিছুদিন আগে মোটা শেফালি থেকে একটি রুম ২ লক্ষ টাকা জামানত দিয়ে ভাড়া নিয়েছিল কলা বিক্রি করার জন্য। জামানতের টাকা ফেরত না দিয়ে তাকে ঘর থেকে বাহির করে দেয়।
আরেক ভুক্তভোগী প্রথম শ্রেণীর কন্ট্রাক্টর আমাদেরকে জানান, তাহাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার সমস্ত টাকা-পয়সার লুটে নিয়ে গেছে এই মোটা সেফালী। মান সম্মান এর ভয়ে ভদ্রলোক কাউকে কিছু বলেননি।
ভুক্তভোগী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক, সানোয়ারা ফুড প্রোডাক্টস্ (সানোয়ারা গ্রুপ) এর মালিক ইয়াসিন আরাফাত মজুমদার জানান, রাশিদা আলম চৌধুরি প্রকাশ মোটা শেফালি সাথে আমার বিগত ২০১৯ সালে পরিচয় হয়। তার আর্থিক অভাব অনটনের কথা আমাকে জানান, তার কথাবার্তা শুনে এবং কান্নাকাটি দেখে আমার মঙ্গলে যায় এরই মধ্যে ২০২০ সালে আমি করনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের একটি হসপিটালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলাম। হসপিটাল থেকে এসে রাশিদা আলম চৌধুরীকে আমার অফিসে ডেকে এনে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহ সানোয়ারা ফুড প্রোডাক্টস্, সানোয়ারা প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ, আরাফাত কর্পোরেশন, এবি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সহ সকল ব্যবসা বাণিজ্য দেখাশুনা ও ডিলার নিয়োগের দায়িত্ব দিই। সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীকে তাহার নির্দেশ মতো কাজ করার জন্য বলি। তার মেয়ে রুবিনাকে আমার এ বি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এ চাকরির ব্যবস্থা করে দেই।
গত কিছুদিন আগে উল্লিখিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব পালনকালে তার কিছু আর্থিক অসংগতি দেখতে পাই এবং ডিলার নিয়োগে আমার স্বাক্ষরিত কিছু অলিখিত স্ট্যাম্প কৌশলে হস্তগত করে আইন পরিপন্থি ভাবে আমার নাবালক দুই ছেলে ও আমার স্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে নিজেকে মালিক বানিয়ে ভুয়া দলিল সৃজন করেছে এবং বিভিন্ন সময়ের নগদ ও ভাউচারের মাধ্যমে উপরে উল্লিখিত ব্যবসা সমূহ হতে অপকৌশলের আশ্রয় নেয়া কতেক জাল কাগজপত্র সৃষ্টি করিয়া আমার প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। উক্ত টাকা ফেরত দিতে বললে, তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী দ্বারা হত্যা করে ফেলবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়ে ফেনী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এবং সেফালীকে উকিল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর