নেত্রকোনার সীমান্ত কলমাকান্দার পাহাড়ি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় হামলা শিকার হয়েছেন প্রতিবাদকারী। আহত হয়েছেন দুইজন। এ ব্যাপারে মো. খলিল মিয়া বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় অভিযোগ করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে ঘটনাটি গত রোববার বিকেলে উপজেলার সীমান্তবর্তী পশ্চিম লেংঙরা কাউবাড়ী নদী গোটা ঘাট নামক এলাকায় ঘটে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী লেংগুরা ইউনিয়নে কাউবাড়ী নামে একটি পাহাড়ি নদী রয়েছে। ওই নদীর দু,পাড়ে বসতবাড়িসহ ধানী জমিও রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে স্থানীয় একটি চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে গাড়ীভরে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছিলেন। বালু উত্তোলনের কারণে নদীর পাড়ে ফসলি জমিগুলোর ভাঙ্গণের সৃষ্টি হয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের ফসলি জমি নদী ভাঙ্গনে পড়ে।
এর জের ধরে স্থানীয় বালু উত্তোলন কারী চক্রের মো. হোসাইন মিয়া, মো. মাঈনউদ্দীন, মো. বাদশা মিয়াসহ ৮ জনের সাথে স্থানীয় লোকজনের তর্ক হয়। নদী থেকে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় একপর্যায়ে বালু উত্তোলন চক্রের লোকজন মিলে কৃষক মো: আ: মান্নানের লোকজন হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় মো. ওলীউল্লাহ ও মো. ইয়াছিন নামে আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে কলমাকান্দা হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। পরে এ ঘটনায় প্রতিবাদকারীদের পক্ষে মো. খলিল মিয়া বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কলমাকান্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান ভূইয়া বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পরামর্শক্রমে আমাদের ইউনিয়ন থেকে কেউ যেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে না পারে সেই জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনদের নিয়ে কাউন্সেলিং করেছি। এর জন্য এলাকার লোকজন অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বাধা দেন। বাধা দেওয়ার কারণে তাদেরকে মারপিট করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তদন্ত সাপেক্ষে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানান তিনি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর