দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জেতা হলো না বাংলাদেশের। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে তাদেরকে হারানোর প্রায় কাছাকাছি ছিলেন শান্ত-সাকিবরা।
শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণ মেলাতে গিয়ে ৪ রানের দূরত্বে টাইগারদের ইনিংস থেমে গেছে। অবশ্য এমন হারের পর আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও।
আম্পায়ারিং ও উত্তরসূরীদের কিছু সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে হারের কারণ তুলে ধরেন মাশরাফি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, তবে আমরাও পুওর অ্যাপ্লিকেশন করেছি।’
অবশ্য এখনই হাল ছাড়তে চান না সাবেক এই টাইগার দলপতি। কারণ বাংলাদেশের সামনে আরও দুটি ম্যাচ রয়েছে। সেদিকেই শান্তদের মনোযোগ দিতে বললেন মাশরাফি, ‘আশা ছাড়ছি না, ইনশা আল্লাহ সেরা আটে যাব। দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হলো, যার ফলে আরও দুইটা প্রেশারের ম্যাচ খেলতে হবে। তাই এই ম্যাচকে যত দ্রুত ব্রেইন থেকে ডিলিট করা যায়, ততোই ভালো হবে সামনের দুইটা ম্যাচের জন্য।’
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ফল ছাপিয়ে হয়তো আলোচনার জায়গা করে নিতে যাচ্ছে আম্পায়ারিং। ১৫তম ওভারে ওটনিয়েল বার্টমেনের করা লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে মাহমুদউল্লাহকে এলবিডব্লু দেন আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিলে দেখা যায় সেটি স্টাম্প মিস করে বেশ বাইরে দিয়ে গেছে, কিন্তু আউট না দিলে ওই বলটাতে বাংলাদেশ লেগবাইয়ে চার রান পেতে পারত।
পরের ওভারে হৃদয়কে দেওয়া সিদ্ধান্তটিও হতে পারত অন্যরকম। তাকে এলবিডব্লু দেওয়া বলটিও আঘাত করত লেগ স্টাম্পের ওপরের দিকে বেলে। রিভিউ নিয়েও আম্পায়ার্স কলে কপাল পোড়ে হৃদয়ের। ফলে তার টাইগারদের হয়ে তার করা সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস সেখানেই থেমে যায়। বাংলাদেশ মাঠ ছাড়ে ৪ রানের হতাশা নিয়ে। প্রোটিয়াদের দেওয়া ১১৪ রানের জবাবে হৃদয়-মাহমুদউল্লাহরা তুলেছেন ১০৯ রান।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর