নিজেদের থাকার কোন ঘর ছিলনা, ছিলনা কোন জায়গাও। অন্যের ঘর দেখে হা-হুতাশ করা ছাড়া আর কিছুই যেন করার ছিলনা রামগড়ের হরি ত্রিপুরা, শাহানা ও ঝর্ণা রায়দের। অন্যের জমিতে এক ঝুপড়ি ঘরে ছিল তাঁদের বসবাস। এরকম খাগড়াছড়ির আরও হাজারো পরিবার একটু আশ্রয়ের আশায় বুক বাধছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বদৌলতে আজ তাদের সেই আশা ভরসার স্থানে পরিণত হলো। আজ তারা নিজেদের জায়গায় নিজেদের ঘরে উঠবেন। কাচা ঘর নয়, তাও সেমি পাকা। এ যেন গরিবের রাজপ্রাসাদ। এ এক অন্যরকম অনুভূতি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৫ম পর্যায়ের ২য় ধাপে খাগড়াছড়ি সদর সহ ৯ উপজেলায় দেওয়া হলো আরও ৮৬০টি সেমি পাকা ঘর। আজ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের উপকারভোগীদের মধ্যে এসব ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে খাগড়াছড়ি জেলায় ৭ হাজার ৫৪৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। এসব পরিবারের মধ্যে প্রতিবন্ধী, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, ভিক্ষুক এবং অসচ্ছল ভূমিহীন পরিবারদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
৫ম পর্যায়ের বরাদ্দকৃত ১৩৮১টি গৃহের মধ্যে (২য় ধাপে) অবশিষ্ট ৮৬০ পরিবারকে আজ ঘর হস্তান্তর করা হবে। এরমধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ২৮টি, মহালছড়িতে ১১৯টি, দীঘিনালাতে ২০০টি, পানছড়িতে ৬৫টি, রামগড়ে ৮১টি, গুইমারাতে ১২৫টি, মাটিরাঙ্গাতে ৬৫টি, মানিকছড়িতে ১০০টি এবং লক্ষ্মীছড়িতে ৭৭টিসহ সর্বমোট ৮৬০টি পরিবার রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, 'মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না' প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের খাগড়াছড়িতে ৮৬০টি উপকারভোগীর মাঝে ঘরের চাবি প্রদান করা হয়েছে। এর আগে খাগড়াছড়ি জেলায় ৭ হাজার ৫৪৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। এ জেলায় আরও চাহিদা রয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।'
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর