ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ভয়ডরহীন ব্যাটিং করে চমক দেখিয়ে আসছেন তাওহীদ হৃদয়। চলমান বিশ্বকাপেও বোলারদের চোখে চোখ রেখে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পর প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও বেপরোয়া নাবিকের মতো দলকে জয়ের বন্দরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন হৃদয়।
কিন্তু আম্পায়ারের এক সিদ্ধান্তই সবকিছু বদলে দিয়েছে। ম্যাচের ১৭ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের বোর্ডে তখন ৯৪ রান। ১৮তম ওভারে বল হাতে আসলেন কাগিসো রাবাদা। প্রথম বলটি গিয়ে লাগে হৃদয়ের সামনের পায়ের প্যাডে। আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
প্রথম দর্শনেই বলটিকে লেগ সাইডে দেখা যায়। হৃদয় রিভিউ নিলে ডিআরএসে দেখা যায়, বলটি লেগস্টাম্প সামান্য স্পর্শ করেছে। তাও আবার উপরের কোণায়। আম্পায়ার্স কল হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত রিভিউ পক্ষে এলো না হৃদয়ের।
হৃদয়ের এই আউট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম এই ধারাভাষ্যকার মনে করেন, আম্পায়ার এই আউটের সিদ্ধান্ত না নিলেও পারতেন।
রমিজ রাজা বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য আনন্দের এবং বাংলাদেশের জন্য হতাশার মুহূর্ত ছিল হৃদয়ের আউট হয়ে যাওয়া। সে দারুণ ব্যাট করছিল। সে সহজাত প্রতিভাও বটে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে।
‘কিন্তু রাবাদার বলে তাকে এমন একটি আউট দিয়েছে আম্পায়ার, যেটি না দিলেও পারতো। ওই আউট নাও হতে পারতো। সেটা ছিল আম্পায়ার্স কল এবং বল লেগেছে অনেক ওপরে। এরপর লেগ সাইড দিয়ে বল চলেও যাচ্ছিল।’
রমিজের মতে বাংলাদেশের পক্ষে হয়তো ভাগ্য ছিল না। তা না হলে হৃদয়ের আউটের পরই ম্যাচটা জেতা সম্ভব ছিল। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, ভাগ্যও বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না। তবে এই ম্যাচ বাংলাদেশ জিততেও পারতো। মানছি, দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং লাইনআপ অনেক দারুণ।
কিন্তু তারা তো পরিস্থিতি বুঝতে ভুল করেই ফেলেছিল। তারা ব্যাটিং ঠিক করেনি। এরপর বোলিংয়ে শেষ ওভার স্পিনারকে দিয়ে করিয়েছে। মাহমুদউল্লাহ ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু অল্পের জন্য সেটা হয়নি। এক দুই ফুটের দূরত্বে থেকে ম্যাচটা বাংলাদেশের হাত ফসকে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ২ বলে ৬ রান প্রয়োজন ছিল, মাহমুদউল্লাহ ছক্কা মারতে চেয়েছিল কিন্তু সে আউট হয়ে গেল। এটাই আসলে পার্থক্য। ম্যাচটা আগেই জেতা উচিত ছিল।’
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর