দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত দেখালেন সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এটিএম রফিকউজ্জামান। হারিয়ে যাওয়া ৫৭ হাজার টাকা ফেরত পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়েছেন ক্ষুদ্র ধান ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মনি।
জানা যায়, গত শনিবার (৮ জুন) দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার বিআরডিবি অফিসের সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এটিএম রফিকউজ্জামান ভ্যান যোগে ঘোড়াঘাট যাওয়ার পথে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কে পড়ে থাকা একটি পলিথিনের থলি দেখতে পেয়ে ভ্যান থেকে নেমে থলিটি তুলে নেন। এরপর থলিটি খুলে অনেকগুলো টাকা দেখতে পান। তিনি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করেন। ইউএনও টাকাগুলো তার নিকট গচ্ছিত রাখার কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
পরবর্তীতে তিনি উপজেলা নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বাবুকে জানান এবং টাকার প্রকৃত মালিকের খোঁজ খবর নিতে বলেন। বিষয়টি জানার পর ভাইস চেয়ারম্যান তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৩ টি ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ও পেজ থেকে একটি পোস্ট দিয়ে জানান যে, ওসমানপুর বাজার এলাকায় কিছু টাকা পাওয়া গেছে। উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে টাকা গুলো ফেরত দেওয়া হবে। এরপর অনেকেই টাকা গুলো নিজের দাবি করলেও তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে গত সোমবার বাদ এশা উপজেলা মডেল মসজিদের সামনে ইউএনও, ভাইস চেয়ারম্যান ও সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার উপস্থিত উপজেলার লালমাটি গ্রামের গ্রামের ক্ষুদ্র ধান ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মনি টাকা গুলো ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় টাকা গুলো ফেরত পেয়ে মনিরুল ইসলাম মনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান।
এ বিষয়ে সহকারী পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রফিকউজ্জামানের অনুভূতি জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, টাকা গুলো পেয়ে আমি অনেকটা অস্বস্তি বোধ করতেছিলাম। ইউএনও ও ভাইস চেয়ারম্যানের মাধ্যমে টাকাগুলো প্রকৃত মালিকের নিকট ফেরত দিতে পেরে আত্মতৃপ্তি বোধ করছি। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বাবু জানান, বিষয়টি জানার পর ফেইসবুকে পোস্ট করার পর অনেকেই টাকাগুলো নিজের দাবি করলেও প্রকৃত মালিকের নিকট ফেরত দিতে পেরে নিজেকে অনেকটা ধন্য মনে করছি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর