নীলফামারীর ডিমলায় কৃষকের নামে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় কয়েক হাজার ভুক্তভোগী কৃষক।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কুটির ডাঙ্গা এলাকায় পৈতৃক ও ব্যক্তিগত জমির মালিকানা বহাল ও প্রায় ৭০০ কৃষকের নামে হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিন, আলিম উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, আলম মিয়া, তইবুল ইসলাম, স্বপন মিয়া প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ডিমলা উপজেলার কুটির ডাঙ্গা, রামডাঙ্গা, পচাঁরহাট ও জলঢাকা উপজেলার চিড়াভিজা গোলনা ও খারিজা গোলনা এলাকার নারী পুরুষ অভিযোগ করে বলেন, দেশ স্বাধীনের আগে খাদ্য চাহিদা পূরনের নিশ্চয়তা তিস্তা বাঁধ ও সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৬৭-৬৮ সালে হুকুম দখলে(মৌখিক সম্মতি)১০৪.২৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে।

বুড়ি তিস্তায় পানি মজুদ রাখার জন্য ১৪ টি জল কপাট বিশিষ্ট একটি ব্যারেজ নির্মাণ করে মজুদকৃত পানি খরিফ মৌসুমে কৃষি জমিতে সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য বাঁধের দুই প্রান্তে দুটি ক্যানেল খনন করা হয। উল্লিখিত মৌজার কৃষি জমিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে মর্মে কৃষকদের জানানো হয়। অন্যদিকে ফসল নষ্ট বাবদ পাউবো আংশিকভাবে টাকা পরিশোধ করলেও অবশিষ্ট টাকা অদ্যাবধি পরিশোধ করা হয়নি।পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের দীর্ঘদিন পর ২০১০ ইং সালের ১৭ই মে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ৪৯২.৭১ হেক্টর পরিমান পৈতৃক ও ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি মেসার্স তুষুকা নামক ঠিকাদারি রিসোর্স লিমিটেডকে ইজারা দেন। ব্যক্তিগত স্বার্থে পাউবো থেকে ইজারা নিয়ে তুষুকা নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন।

আমরা বাধা প্রদান করিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অত্র এলাকার গরিব নিরীহ অসহায় ৭০০ কৃষকের নামে দফায় দফায় কয়েকটি হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। জমির প্রকৃত মালিকগণ উচ্চ আদালতের স্বরণাপন্ন হলে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে তাদের কথিত কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়া হয়। ফলে কৃষকেরা ফসল উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি জাতীয় খাদ্য চাহিদা পূরনে ভূমিকা রাখছে।

মুনতাসির/সাএ