নড়াইলে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাট। আসন্ন ঈদ- উল- আজাহার বাকী আছে ৪দিন। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বেচাকেনা। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার নানা অভিযোগ রয়েছে। জেলার প্রতিটি পশুর হাটে কৃষক, খামারি ও ব্যাপারীরা দেশি বিদেশি নানা জাতের গরু-ছাগল হাটে নিয়ে আসছেন। ক্রেতা বিক্রেতায় মুখর নড়াইল জেলার প্রতিটি পশুর হাট।
নড়াইল সদর উপজেলার পৌর এলাকার গারুচোরা, মাইজপাড়া, মাদ্রাসা বাজার, উপজেলার লোহাগড়া, শিয়রবর, লাহুড়িয়া, মিঠাপুর, দিঘলিয়া, ইতনা পশুর হাটে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসছেন। প্রতিটি পশুর হাটে গরু-ছাগল নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। গত বছরের তুলনায় এ বছর গরু-ছাগলের দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। ক্রেতারা দাম শুনে বিভিন্ন হাট ঘুরে ঘুরে দেখছেন। ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা চড়া দাম হাঁকিয়ে বসে রয়েছেন। তাই সামর্থ্য অনুযায়ী গরু-ছাগল কিনতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন।
নড়াইল সদর উপজেলার পৌর এলাকার গারুচোরা পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, জমজমাট পরিবেশ। হাটে সারি সারি বাঁশের খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে হাজারো কোরবানির পশু। গরু-ছাগলের দরদাম নিয়ে হাঁকডাক করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
এ হাটে গরু কিনতে আসা সদর উপজেলার রাজু শেখ বিডি২৪লাইভকে বলেন, হাটে বেশ পরিমাণে দেশি জাতের গরু উঠছে। গরুগুলো দেখতেও খুব সুন্দর। তবে দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।
গরু কিনতে আসা আশরাফুল বিশ্বাস বিডি২৪লাইভকে বলেন, আমরা যারা কোরবানি দেই। আমাদের অনেকের গরু রাখার জায়গা নেই। তাই ঈদের দু-তিন দিন আগেই কোরবানির পশু কিনে থাকি। আজ শুধু দরদাম করছি।
গরু বিক্রেতা শফিক বিশ্বাস বিডি২৪লাইভকে বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর দেশীয় পদ্ধতিতে গরু-ছাগল মোটাতাজা করতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। যদি গরুর দাম দেড় লাখ টাকা চাই তাহলে ক্রেতারা তার দাম ৮০ থেকে ৯০ হাজার আর যদি এক লাখ টাকা চায় তাহলে ক্রেতারা দাম বলেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। কোনো কোনো ক্রেতা দাম বেশি দিয়ে কিনে নেন। আবার কিছু ক্রেতা দাম শুনে চলে যান।
গরু কিনতে আসা হাবিবুর রহমান বিডি২৪লাইভকে বলেন, কোরবানির সময়ে একটু বেশি দাম থাকবেই সেটা আমরাও জানি। তবে তুলনামূলক ভাবে এবছর দামটা একটু বেশি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার নড়াইল সদর উপজেলার পৌর এলাকার গারুচোরা গরু-ছাগলের হাট বসবে। শুক্রবার নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়ায় সব চেয়ে বড় গরু-ছাগলের হাট বসবে।
লোহাগড়া হাটের ইজারাদার সৈয়দ শাহাদৎ হোসেন বিডি২৪লাইভকে বলেন, উপজেলায় বেশ কয়েকটি গরু-ছাগলের হাট রয়েছে। তবে আগামী কাল বৃহস্পতিবার লোহাগড়ায় সব চেয়ে বড় গরু-ছাগলের হাট বসবে। জেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন প্রকার দিকনির্দেশনা দিয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে সেগুলো ফলো করছি। জাল টাকা শনাক্ত করার ব্যবস্থা,ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দেওয়া ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে এই হাটে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর