লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে পথরোধ করে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১জুন) মধ্যরাতে তাদের প্রত্যাহার করে লালমনিরহাট পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। অভিযুক্ত দুই কনস্টেবল হচ্ছেন নারায়ন বম্মর্ণ ও মামুন মিয়া। তারা হাতীবান্ধা থানাধীন দোয়ানী পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।
বুধবার(১২ জুন)বিকেলে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের বিষয়টি দোয়ানী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মুক্তার সরকার (এসআই) নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার(১১ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস এলাকায় ছিনতাই চেস্টার ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলা দোয়ানী বাজারের হাসমত আলী নামে এক ভুট্টা ব্যবসায়ী সাধুর বাজার থেকে পার্শ্ববতী ডিমলা উপজেলায় যাওয়ার পথে ফ্লাড বাইপাসের মাঝামাঝি অন্ধকারে তাকে পথরোধ করে দুই ব্যক্তি। এ সময় তার কাছে থাকা ৪৩ লক্ষ টাকাসহ একটি ব্যাগ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ওই দুই ব্যক্তি। তখন হাসমত আলী চিৎকার দিলে ওই দুই ব্যক্তি তারা যে পুলিশ সদস্য সেই পরিচয় দেয়। সময় ওই দুই পুলিশ সদস্যের গায়ে কোনো পুলিশের পোশাক ছিল না। এ সময় ওই এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ীরা পুলিশ ফাঁড়ি সামনে জড়ো হয় এবং বড়খাতা-জলঢাকা সড়কে বিক্ষোভ ও পুলিশ ক্যাম্প ঘেরাও করেন।
খবর পেয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং পুলিশ ফাঁড়িতে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেন। পরে অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের ঘোষনা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। রাতেই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নারায়ন বম্মর্ণ ও মামুন মিয়াকে প্রত্যাহার করে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে আসা হয়।
দোয়ানী বাজারের ব্যবসায়ী হাসমত আলী বলেন, বিষয়টি রাতে পুলিশের সাথে মীমাংসা করে নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র মোহন্ত বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রত্যাহার হওয়া দুই পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর