গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৪০ কিলোমিটার সড়কে ডিভাইডারের মধ্যস্থানে গাছগুলোতে ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ পথচারীরা।
সড়কে নান্দনিক ফুলের মেলায় বর্ণিল হয়েছে যা মন কাড়ছে পথচারীদের। বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার বাহারি রঙিন ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছে এই সড়কে চলাচলরত যাত্রীরা।
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ মহা সড়কে সালনা,পোড়াবাড়ী,মাস্টার বাড়ি, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান, রাজেন্দ্রপুর হোতাপাড়া, ভবানীপুর,বাঘের বাজার,মাওনাসহ জেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত সড়কে লাল, হলুদ, বেগুনি, সাদাসহ নানা বর্ণের ফুল দীপ্তি ছড়াচ্ছে। মহাসড়কের যেদিকেই চোখ যায় সেদিকেই ফুলের সমারোহ। শুধু সৌন্দর্য নয়, অক্সিজেনও সরবরাহ করছে গাছগুলো। এছাড়া রাতের বেলা যাত্রী ও পরিবহনকে দুর্ঘটনা থেকেও রক্ষায় সহায়ক হয়ে উঠেছে সড়ক পাশের এই বাহারি ফুলবাগান।
একসময়ের খানাখন্দ আর নোংরা আবর্জনায় ভরা মহাসড়ক অকল্পনীয়ভাবে এখন যাত্রীদের মাঝে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে। সড়কদ্বীপে ফুটে আছে কৃষ্ণচূড়া, নীল কাঞ্চন, কামিনী, টগর, রাধাচূড়া, অগ্নিস্বর, পলাশ, ছাতিম, কনকচাঁপা, কদম, জারুল, রক্তকরবী, সোনাঝরা রূপের সোনালু ফুল।
প্রায় ১৫ থেকে ২০ প্রজাতির হাজার হাজার উদ্ভিদ সড়ক মাঝে রোপণ করা হয়েছে। বছরজুড়ে এ গাছগুলো সৌন্দর্য ও ছায়া দিলেও বছরের এসময়ে কয়েক মাস ফুলেল সৌন্দর্যে নয়নাভিরাম পরিবেশে ভিন্ন আবহ বয়ে আনে।
রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার ব্যবসায়ী সজীব খন্দকার
বলেন, মহাসড়কের দিকে তাকালে এখন চোখ জুড়িয়ে যায়। গাছগুলোর সঠিক পরিচর্যা করলে মহাসড়কের এই সৌন্দর্য অটুট থাকবে আরও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।
কবি লেখক সাহিত্যিক শাহান শাহ বুদ্দিন বলেন,গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয় ফুল ছড়ায় সুগন্ধ ও সৌন্দর্য,তাছাড়া মহাসড়কটি শুধু যাতায়াতের মূল পথ হলেও এখন পর্যটন কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিকেল হলে সড়কটির ৪০ কিলো জুড়ে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে সহ পরিবার নিয়েও অনেক কে দেখা জায় ফুলেল ঘ্রাণ নিতে ফুলেল সাথে সেলফি তুলতে।
গাজীপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল ইসলাম বলেন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের মতো প্রতিটি মহাসড়কে ফুলে ফুলে সবুজ শ্যামল ভরে উঠুক মহা সড়কের ডিভাইডার।বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য স্বাগত জানান।
গাজীপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার শরিফুল ইসলাম বলেন, গাছগুলো সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণেও সহায়ক। পাশাপাশি বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়ির হেডলাইনের আলো থেকে চালকের চোখ রক্ষা পায়। এতে সড়কের দুর্ঘটনাও ঘটে কম।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর