সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের সাথে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্লাটটিতে ঠিক কী ঘটেছিলো, তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ও ভিডিও এসেছে বিভিন্ন গনমাধ্যমে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, কসাই জিহাদ স্বীকারোক্তি দিয়ে জানাচ্ছে, বালিশ চাপা দিয়ে আনারকে হত্যা করার পর ঐ ফ্ল্যাটের বাথরুমে কীভাবে তার মরদেহ টুকরো টুকরো ফ্ল্যাশ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে এবার ফেসবুকে লিখেছেন আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তিনি লেখেন, আজকে আমার বাবার এই ছবি দেখা লাগতেছে...আমি পারছি না আমি পারছি ।।আহারে আহারে এ কি নিষ্ঠুর কি নিষ্ঠুর , কি অসহায়ের মতো আমার বাবা কে বেধে রেখেছে , আমার বাবা অনেক কষ্ট পাচ্ছিলো আল্লাহ।
আল্লাহ গো তুমি কোথায় তুমি এর বিচার করো বিচার করো, কতো কষ্ট দিলো কি অসহায়ের মতো বেধে রেখেছে , আর আপনার বড় বড় কথা বলেন আমি ডরিন কাউকে ছাড়বো না।
হত্যার পর সংসদ সদস্যকে বেঁধে রাখার চিত্রও প্রকাশ পেয়েছে ভিডিওতে। এতে দেখা যাচ্ছে, অজ্ঞান করার রাসায়নিক ক্লোরোফর্ম দিয়ে অচেতন করে আনারকে বালিশ চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি খুনিরা। মৃত আনারকে চেয়ারে বসিয়ে তার হাত ও পা শক্ত করে বেঁধে রাখা হয়।
এই হত্যার তদন্তে গেলো ২৬ মে কলকাতায় যায় ডিবি পুলিশের একটি দল। গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদকে সাথে নিয়ে সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেই ফ্লাটেও যান তদন্তকারিরা। এ সময় আনার হত্যায় কে কীভাবে জড়িত ছিলো, কার কী ভূমিকা ছিলো, হত্যার পর কীভাবে আনারের দেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়, সবই স্বীকার করে জিহাদ।
জিহাদের তথ্যেই জানা যায়, ফ্ল্যটের বাথরুমে টুকরো টুকরো করে আনারের দেহাংশ করে ফ্লাশ করে দেওয়া হয়।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর